দিলীপ ঘোষের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
নিজের গড়েই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে গাড়ি ঘুরিয়ে তাঁকে ফিরে যেতে হয়। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন এক নম্বর ব্লকের মনোহরপুরে।
বুধবার দাঁতন দুই নম্বর ব্লকের সাহানিয়া এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল দিলীপের। সেখানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই দাঁতন থানার মনোহরপুর এলাকায় পৌঁছতেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন দিলীপ। তাঁর গাড়ি ঘেরাও করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন অনেকে। পাল্টা দিলীপও জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘কী হয়েছে?’’ গাড়ি আটকে রাখা অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের অনেকেই পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘এত দিন কোথায় ছিলেন?’’ আবার কেউ অভিযোগের সুরে বলেন, ‘‘সাংসদ হওয়ার পর এক দিনও দেখতে পাইনি।’’ পরিস্থিতি এমন হয় যে শেষ পর্যন্ত আর সাহানিয়া যাওয়া হয়ে ওঠেনি দিলীপের। তাঁকে ফিরতে হয় খড়্গপুরে।
এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘‘যাঁরা ত্রিপুরা নিয়ে গলাবাজি করছেন, তাঁরা এটা দেখুন। আমরা বার বার বলেছি, এ রাজ্যে আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন আছে। আমার গাড়িতে অনেক বার আক্রমণ হয়েছে। এ সব করেও আটকানো যায়নি। শূন্য থেকে ৭৭-এ পৌঁছেছি। এখনও আটকানো যাবে না।’’ বিজেপি-র একটি অংশের মত, তৃণমূলই এই বিক্ষোভের পিছনে রয়েছে। তৃণমূলের দাঁতন এক নম্বর ব্লকের সভাপতি প্রতুল দাস বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকার শিবির চলছিল। সে সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় উনি কিছু একটা বলেছেন। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ দেখিয়েছেন। দলের কেউ বিক্ষোভ দেখায়নি।’’
দিন কয়েক আগে খড়্গপুর শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডে এক অসুস্থ বিজেপি কর্মীকে দেখতে যান দিলীপ। তখনও বিক্ষোভের মুখে পড়েন। ঘটনাচক্রে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিজেপি-রই। সেটা জানার পরে গাড়িতে বসে বিক্ষোভকারীদের দিলীপ বলেন, ‘‘ওর বাড়িতে গিয়ে ‘...’ (চলতি ভাষায় মলত্যাগ) দিয়ে আসুন। যাতে বেরোতে না পারে।’’ কাউন্সিলরকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখারও পরামর্শ দেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy