‘চমক’ তেমন জমল না দিলীপ ঘোষের। তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের দিন খড়্গপুরে বিজেপির পাল্টা ‘শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি সভা’ই যে তাঁর চমক তা এ দিন সেই মঞ্চ থেকেই জানালেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ। সঙ্গে স্পষ্ট করলেন বিজেপি ছেড়ে তিনি কোথাও যাচ্ছেন না। পাশাপাশি নাম না করে বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে অধিকারীকেও।
সোমবার খড়্গপুর শহরের গিরিময়দান সংলগ্ন কেদারনাথ মন্দিরের সামনে জেলা বিজেপি আয়োজন করে ‘শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি সভা’র। বিজেপির মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শমিত মণ্ডলের উদ্যোগে সেই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ। বিজেপির দাবি, তৃণমূল জমানায় প্রায় ২৫০ জন বিজেপি কর্মীকে খুন হয়েছেন। তাঁদের শ্রদ্ধায় জানাতেই সভা। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা ও ঝাড়গ্রামের কয়েকজন মৃত বিজেপির কর্মীর পরিজনেদেরও সভায় আনাও হয়। শেষে ছিল যোগদান পর্ব। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বুথস্তরের কয়েকজন কর্মীর হাতে পদ্ম পতাকা তুলে দেন দিলীপ।
‘চমক’ প্রসঙ্গে দিলীপের ব্যাখ্যা, “যাঁরা ঘাম ঝরিয়ে, বুকের রক্ত দিয়ে এই দলকে দাঁড় করিয়েছেন, তাঁরা একটু বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছেন। সাংবাদিক বন্ধুরা সকাল পর্যন্ত জিজ্ঞাসা করেছেন দিলীপদা কোন মঞ্চে থাকবেন। সবাই জানত পশ্চিমবঙ্গে একুশে জুলাই একটাই মঞ্চ হয়, ধর্মতলায়। খড়্গপুরে একটা মঞ্চ হতে পারে, এটাই চমক। খড়্গপুরে শহিদ স্মরণে ১৩জন নয়, আমাদের ২৫০ জন শহিদ রয়েছেন।” তাঁর দলবদল নিয়ে বিভ্রান্তির পিছনেকখনও দলের একাংশকে দায়ী করেছেন দিলীপ, আবার মঞ্চে সংবাদমাধ্যমকেও ‘কুকথা’য় আক্রমণ করেছেন। তৃণমূল থেকে আসা লোকজনের উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, “যারা মাঝখানে বিভ্রান্ত করেছিল, দিলীপ ঘোষ তৃণমূলে যাবে বলেছিল তারা ডিম-ভাত খাওয়া লোক। মনে রাখুন, রক্ত দিয়ে, ঘাম দিয়ে দলকে দাঁড় করিয়েছি। যতক্ষণ নবান্নে বিজেপির নেতা বসছেন, ততক্ষণ এই লড়াই চলবে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)