বছর খানেকের ব্যবধানে ফের পূর্ব মেদিনীপুর সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩ এপ্রিল থেকে টানা চার দিনের এই জেলা সফরের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে, প্রশাসন ও তৃণমূল দু’তরফেই।
৩ এপ্রিল, সোমবার খেজুরির ঠাকুরনগরে প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার দিঘায় হবে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন। জেলার প্রতিটি বুথ থেকে ১৫ জন কর্মী উপস্থিত থাকবেন। তৃণমূলের তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা মিলিয়ে কর্মী সম্মেলনে মোট প্রায় ৭০ হাজার জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। শনিবার তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। তমলুক শহরের বেসরকারি অতিথিশালায় ওই বৈঠকে ছিলেন জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র, জেলা চেয়ারম্যান পীযূষকান্তি ভুঁইয়া, নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে, জেলাপরিষদের সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান-সহ দলের মহিলা, সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি এবং সব ব্লক, শহর সভাপতি ও জেলা কমিটির সদস্যরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় এসে মমতা কী বার্তা দেন, সে দিকেই এখন সকলের নজর। তমলুক সাংগঠনিক জেলা থেকে প্রায় ৩০ হাজারের মতো কর্মীকে সম্মেলনে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ দিন বৈঠকে সৌমেন নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতিটি বুথ থেকে ১৫ জন কর্মীকে বাছাই করবে সংশ্লিষ্ট বুথ কমিটি। নামের তালিকা ব্লক সভাপতির মাধ্যমে রবিবারের মধ্যে জেলা সভাপতির কাছে জমা দিতে হবে। ৪ এপ্রিল দুপুরএকটায় দিঘায় হেলিপ্যাড ময়দানে কর্মী সম্মেলনস্থলে পৌঁছে যেতে কর্মীদের। ব্লক নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে, নিজেদেরই যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে।
দলীয় সূত্রে খবর, তমলুক ও হলদিয়া মহকুমার বিভিন্ন ব্লক ও পুর এলাকা থেকে বাস-সহ অন্য যানবাহনে যাওয়ার আয়োজন স্থানীয় নেতৃত্ব করবেন। সৌমেন বলেন, ‘‘দিঘায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মী সম্মেলনের জন্য জেলা ও ব্লক নেতৃত্বকে নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। বুথ থেকেই কর্মী বাছাই ও তাঁদের সম্মেলনে যাওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’
প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসনও। কাল, সোমবার কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে চেপে মুক্যমন্ত্রী খেজুরি -১ ব্লকের ঠাকুরনগরে প্রশাসনিক জনসভায় পৌঁছবেন। পরে কপ্টারে চেপেই যাবেন দিঘা। শনিবার সকাল থেকে তার মহড়া হয়। সকাল থেকে উপকূলের আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। কোথাও কোথাও বৃষ্টিও হয়েছে। তারই মধ্যে ঠাকুরনগরের মাঠে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড। দিঘা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডেও মহড়া চলে। কাঁথিতে প্রভাত কুমার কলেজের মাঠেও অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। যদিও বিকেল পর্যন্ত সেখানে মহড়া হয়নি। তিন অস্থায়ী হেলিপ্যাডেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সন্ধেয় ঠাকুরনগরে সভাস্থলে যান জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)