উন্নয়নে অসহযোগিতা করছেন জেলাশাসক— এই অভিযোগে ‘প্রতীকী ধর্না’য় বসলেন ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। শুক্রবার সকালে জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বরেই কিছুক্ষণের জন্য ওই ধর্না চলে। আর তখনই দফতরে আসেন জেলাশাসক আয়েষা রানি। কিন্তু তিনি গাড়ি থেকে নামার ‘সৌজন্য’ও না দেখানোয় ক্ষুব্ধ হয়েছেন সাংসদ।
এ দিনের এই ঘটনার পরে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকের ভূমিকা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন কুনার। সাংসদের অভিযোগ, আয়েষা উন্নয়নের বরাদ্দ খরচে কার্যত রাজনীতি করছেন। নির্বাচিত সাংসদকে অসম্মান করছেন। সংসদের আসন্ন অধিবেশনেও জেলাশাসকের কথা তুলবেন বলে জানিয়েছেন কুনার। গোটা ঘটনায় জেলাশাসকের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সাংসদের ধর্নার বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষমহলে জানিয়েছেন।’’
বেশ কিছুদিন ধরেই জেলাশাসক সাংসদের ফোন ধরছেন না বলে অভিযোগ। জেলার করোনা-পরিস্থিতি জানতে বার বার জেলাশাসককে চিঠি দিয়েও তিনি জবাব পাননি। এ দিকে, গত বছর সাংসদ হওয়ার পরে সাংসদ তহবিল থেকে ঝাড়গ্রাম জেলার বেশ কিছু প্রকল্পের জন্য প্রথম পর্যায়ে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করেন কুনার। সাংসদের দাবি, গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ জেলাশাসকের দফতরে টাকা চলে এলেও কাজ শুরু করা হচ্ছে না। এ নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলতে কুনার বৃহস্পতিবার জেলা কালেক্টরেটে গিয়েছিলেন। কুনারের দাবি, জেলাশাসকের দফতরকে জানিয়ে সময় চেয়েই গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে ভিজিটার্স রুমে বসিয়ে রেখেও জেলাশাসক দেখা করেননি। ফোনও ধরেননি।