জঙ্গলমহলের কোনও না কোনও গাঁ-গঞ্জে রোজই প্রায় খাবারের সন্ধানে হাতি ঢোকে। ইদানীং অরণ্যশহরের রাস্তায় নেমে ও স্কুলের জানলা ভেঙে চাল খেয়ে যাচ্ছে রেসিডেন্সিয়াল হাতি খড়ু। সেই আতঙ্ককে সঙ্গে নিয়েই শনিবার, মহালয়ার গভীর রাতে ঝাড়গ্রাম শহরে ঢুকল এক দাঁতাল। রাস্তায় রাস্তায় দাপিয়ে বেরিয়ে শহরের ঘোড়াধরায় স্বসহায়ক গোষ্ঠীর মহিলাদের মহাসঙ্ঘ ভবনের কোলাপসিবল দরজা ভেঙে প্রায় ১০ বস্তা চাল খেল সে। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন মহাসঙ্ঘের দুই মহিলা।
শনিবার রাতে বৃষ্টি পড়ছিল। তার মধ্যেই শহরের ঘোড়াধরা, ঝাড়গ্রাম থানার সামনের রাস্তা, হিন্দি স্কুলের মাঠ, কদমকানন মোড়, আনাজ বাজার লাগোয়া স্টেশন চত্বর, সুভাষ চকের মতো জনবহুল এলাকায় ঘুরে বেড়াল সেই হাতিটি। জনতা, পুলিশ ও বনকর্মীর তাড়া খেয়ে ফেরার সময়ে ঘোড়াধরা পার্কে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ চত্বরে ঘুরে বেড়াল হাতিটি।
সেই দাঁতালকে খেদিয়ে শহর ছাড়া করতে বেশ বেগ পেতে হয়। গভীর রাতে পথে নামতে হয় ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হলেইচ্চি, ঝাড়গ্রামের ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার প্রদীপ সেনগুপ্তকে। হুটার বাজিয়ে নামে ‘ঐরাবত’। শহরে হাতি ঢোকার খবর পেয়ে চলে আসেন ঝাড়গ্রাম থানার আইসি জয়প্রকাশ পাণ্ডে। আসে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার।