হেলমেট না পরায় আটকে রাখা হয়েছে মোটরবাইক। শনিবার রাতে মেদিনীপুরের গোলকুয়াচকে। — সৌমেশ্বর মণ্ডল।
আর শুধু দিনে নয়, হেলমেটহীন বাইক ধরতে রাতেও মেদিনীপুর শহরে অভিযান শুরু করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধরপাকড় চালিয়ে অনেকটাই সচেতনতা ফেরানো গিয়েছে। যদিও বাইকের বাকি সওয়ারিদের হেলমেট পরতে বিশেষ দেখা যাচ্ছে না। বাইকের সকল আরোহীই যাতে হেলমেট পরেন, সে জন্য এখন থেকে অভিযান চলবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। রাতে অভিযান শিথিল হলে অনেকে হেলমেট ছাড়াই বেরোচ্ছেন। তাই এ বার রাতেও অভিযান চালানো হবে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিদিন রাত ৯টার পরে শুরু হবে অভিযান। কোনও দিন কেরানিতলায় আবার কোনও দিন বটতলাচক, গোলকুয়াচকে চলবে অভিযান। বিনা হেলমেটে বাইক চালালেই করা হবে জরিমানা। শনিবার রাতেও অভিযান চালায় পুলিশ।
বাইকের সকলে হেলমেট না পরায় অভিযান চলাকালীন হেনস্থার অভিযোগও উঠছে। শনিবার রাতে মেদিনীপুর শহরে স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে নিমন্ত্রণ খেয়ে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন এক ব্যক্তি। বাইক চালক বাদে বাকিরা হেলমেট না পরায় তাঁদের অনেক রাত পর্যন্ত থানায় আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের দাবি, কাউকে হেনস্থা করা হচ্ছে না। নিয়ম মেনে গাড়ি চালানো, দুর্ঘটনা এড়াতেই এটা করা হচ্ছে।
হেলমেটহীন বাইক ধরার পাশাপাশি বেপরোয়া বাইক চালানো আটকাতেও পুলিশ তৎপর হোক, দাবি শহরবাসীর। শহরের বাসিন্দা সঞ্জয় সরকারের কথায়, “সরকারি নিয়ম তো মানতেই হবে। হেলমেট পরছিও। কিন্তু আমি নিয়ম মেনে গাড়ি চালানো হবে। যারা বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালায়, তাঁদের ধরতে পুলিশ কড়া হোক।’’কোতয়ালি থানার পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, এবার বেপরোয়া গাড়ির উপরেও নজর রাখা হচ্ছে। সাধারণত, রাতে কিছু মাদকাসক্ত যুবক এটা বেশি করে থাকে। তাই রাতেও অভিযানে জোর দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy