E-Paper

বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা, আতঙ্কে নির্যাতিতার পরিবার

দুটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও শনিবার রাতে হামলায় আতঙ্কিত নির্যাতিতার পরিবার বসতবাটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৩৫
বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়।

বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। প্রতীকী চিত্র।

নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়িতে ফের হামলা। শনিবার রাতে নির্যাতিতার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। বোমার আঘাতে বাড়ির জানালা এবং প্রাচীরের একাংশ ফেটে গিয়েছে বলে জানান নির্যাতিতার পরিবার। ঘটনায় আতঙ্কিত তাঁরা।

হাইকোর্টের নির্দেশে নির্যাতিতার বাড়িতে সর্বক্ষণ পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। দুটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও শনিবার রাতে হামলায় আতঙ্কিত নির্যাতিতার পরিবার বসতবাটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘শনিবার রাত পৌনে তিনটে নাগাদ দুষ্কৃতীরা বাড়ি লক্ষ্য করে ছ’টি বোমা ছুড়েছে। সে সময় পুলিশকে বারবার ফোন করেও কোনও সহযোগিতা পাইনি। যারা বাড়ির সামনে ছিলেন সেই সব পুলিশকেও জানিয়েছি। পরে আমরা টর্চ জেলে বাইরে বেরিয়ে দেখি প্রাচীরের একটা অংশ ফেটে গিয়েছে। জানলারও কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।’’

কাঁথির এসডিপিও সোমনাথ সাহা বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সর্বক্ষণ নির্যাতিতার বাড়িতে পুলিশের নিরাপত্তা রয়েছে। বোমা ছোড়ার অভিযোগ কতটা সঠিক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

প্রসঙ্গত, ১০ জানুয়ারি কাঁথি শহর টিএমসিপি সভাপতি শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। অভিযুক্ত শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতার বাবা এবং তার দিদির বিরুদ্ধেও পুলিশ মামলা করেছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি কাঁথি মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ওই ছাত্র নেতা। আপাতত তিনি জেল হেফাজতে। যদিও গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্ত টিএমসিপি নেতার বাবা সুদীপ্ত গিরি এবং দিদি দীপ্তিশ্রীকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এদিন সকালে নির্যাতিতার বাড়ির আশপাশে বোমা এবং বোমার সুতলি পাওয়া গিয়েছে।

নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী আবু সোহেল বলেন, ‘‘কেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা। স্থানীয় থানার পুলিশ এবং অভিযুক্তরা মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও রাজার হালে। বাকি দুই অভিযুক্ত প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের ধরছে না। অথচ মেয়ের পরিবারকে নানা সময় পুলিশ মানসিক অত্যাচার করছে। পুরো বিষয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’’

এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তরুণ মাইতি বলেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা দল সমর্থন করে না। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির জন্য আগাগোড়া প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। তারপরেও যদি বোমা ছোড়া হয় তার জন্য পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bomb Scare Contai

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy