Advertisement
E-Paper

তেরো মাসের ছেলেকে খুন, গ্রেফতার

১৩ মাসের পুত্রসন্তানকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন বাবা। বছর পঁচিশের ধৃতের নাম আদিত্য নায়েক। শুক্রবার বিকেলে বেলপাহাড়ির সিমলা গ্রাম থেকে আদিত্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার অভিযুক্তকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক সাতদিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৪২

১৩ মাসের পুত্রসন্তানকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন বাবা। বছর পঁচিশের ধৃতের নাম আদিত্য নায়েক। শুক্রবার বিকেলে বেলপাহাড়ির সিমলা গ্রাম থেকে আদিত্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার অভিযুক্তকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক সাতদিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদিত্য নায়েকের বাড়ি বিনপুর থানার কানিমহুলি গ্রামে। গত ৩১ অক্টোবর আদিত্যর স্ত্রী মামনি নায়েক তেরো মাসের ছেলে ইন্দ্রজিৎকে নিয়ে ডাইনমারি গ্রামে বাপের বাড়িতে আসেন। সঙ্গে তাঁর স্বামীও ছিলেন। মামনিদেবী অভিযোগে জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে ছেলেকে পাশে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। রাত দেড়টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে দেখেন বিছানায় ছেলে নেই। পরিবারের লোকজনও ঘুম থেকে উঠে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাস্তার ধারে গিয়ে আদিত্যবাবুর সাইকেল, লুঙ্গি ও তোয়ালে দেখতে পাওয়া যায়।রাতেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তারপর পাশেই একটি জলাশয়ের পাড়ে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।

মামনিদেবী বলেন, ‘‘ছেলে হওয়ার পর থেকেই আমার স্বামী আমাকে মারধর করত। সন্দেহ ছিল, ছেলেটা ওঁর নয়। ছেলেটিকে মেরে ফেলবে বলে আমাকে হুমকিও দিত। সন্দেহের কারণেই, আমার স্বামী ছেলেটিকে মেরে ফেলেছে।’’ শুক্রবারই মামনিদেবী বেলপাহাড়ি থানায় তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আদিত্যকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে শনিবার ঝাড়গ্রামের প্রথম এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। বিচারক অনিরুদ্ধ সাহা ধৃতকে সাতদিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে শিশুটিকে। অভিযুক্তের আইনজীবী হিমেল ছেত্রীর অবশ্য দাবি, ‘‘কোন বাবা তার সন্তানকে খুন করতে পারেন না। আমার মক্কেলকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে।’’

এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালতে ফের এক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলেন আইনজীবীরা। আইনজীবীদের কাজে সহযোগিতা না করা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে আগামী সোমবার থেকে তমলুকের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ( তৃতীয় আদালত ) অনিমেষ ঘোষের এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ও ডিস্ট্রিক্ট সিভিল বার অ্যাসোসিয়েশন। অ্যসোসিয়েশনের সম্পাদক শরিফ নওয়াজ বলেন, ‘‘আইনজীবীদের সাথে দুর্ব্যবহার ও মামলার কাজে সহযোগিতা না করার কারণে বয়কটের সিদ্ধান্ত।’’ একই অভিযোগে গত ১৪ জুন থেকে তমলুকের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (প্রথম আদালত) তমালী ঘোষের এজলাস বয়কট শুরু করেন আইনজীবীরা। তা চলছে এখনও। শনিবার বার অ্যা সোসিয়েশনের তরফে ফের এক বিচারকের এজলাশ বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

murder son
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy