তখন গাছে পবননন্দন।
বাইরে পবননন্দন। ঘর থেকে বেরলেই পড়তে হবে হামলার মুখে। তাই হনুমানের আক্রমণ থেকে বাঁচতে ঘরে থাকাই শ্রেয় মনে করছেন ঘাটাল শহরের ৯ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
হনুমানের আঁচড়ে ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ জন অল্প বিস্তর জখমও হয়েছেন। পরিস্থিতি কথা স্বীকার করে বন দফতরের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “দফতরের কর্মীরা হনুমানটিকে খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। লাগাতার বৃষ্টির দরুন কিছুটা সমস্যাও হচ্ছে।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘হনুমানের আক্রমণে নতুন করে কেউ যাতে জখম না হন, সে জন্য বন দফতরের কর্মীরা সতর্ক রয়েছেন।’’ হনুমানের দাপটে অতিষ্ট বাসিন্দারা শুক্রবার ঘাটালের মহকুমাশাসক রাজনবীর সিংহ কাপুরের কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘পরিস্থিতি সামলাতে বন দফতরকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার কথা বলেছি। হনুমানের আক্রমণে জখমদের চিকিৎসা করার জন্য এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’’
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন কয়েক ধরেই একটি হনুমান ঘাটাল শহরের ৯ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীরামপুর, পাঁচঘোড়া, দুধেরবাঁধ, সুদামবাটি, নিশ্চিন্দিপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হনুমানটি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। কাউকে সামনে পেলেই আক্রমণ করতে তেড়ে আসছে। গত দু’দিনে প্রায় ৫০ জন জখম হয়েছেন। আহতদের কয়েকজনকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় আট জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হনুমানের আতঙ্কে দুধেরবাঁধে গুরুদাস প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণিতেও পড়ুয়াদের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। গুরুদাস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সমরেন্দ্রনাথ আদক বলেন, “স্কুল খোলাই রয়েছে। বৃহস্পতিবার একাদশ শ্রেণির এক এক ছাত্র প্রবীর মল্লিক বাড়ি ফেরার পথে হনুমানের কামড়ে জখম হয়। তার চিকিৎসা চলছে। তাই মনে হয় ভয়ে কেউ স্কুলে আসেনি।” স্থানীয় বাসিন্দা মনোরঞ্জন মণ্ডল, সোমা পণ্ডিতেরা বলেন, “হনুমানের দাপটে রাস্তার কল থেকে পানীয় জল আনতে যেতেও ভয় হচ্ছে।”
ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ বলেন, “হনুমানের ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বেরোতে পারেনি। পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বন দফতরকেও দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে আর্জি জানিয়েছি।”
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy