Advertisement
০২ মে ২০২৪
Kolaghat

কোলাঘাটে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের এক মাস পরেও দুষ্কৃতীরা অধরা! পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

গত ২০ নভেম্বর রাত ৯টা নাগাদ কোলাঘাটের দেউলবাড় এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে গুলি করে খুন হন স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমীর পড়িয়া। তাঁর সঙ্গে থাকা গয়না এবং টাকা ছিনতাই হয়।

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে পথে নাগরিক সমাজ।

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে পথে নাগরিক সমাজ। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কোলাঘাট শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৫১
Share: Save:

স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের পর এক মাস কেটে গিয়েছে। এক জনের গ্রেফতারি ছাড়া ওই অপরাধের ঘটনায় কোনও দুষ্কৃতীকেই পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ। তাদের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের নাগরিক সমাজ পথে নামল। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবি-সহ মোট ছ’দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় কোলাঘাট থানায়। তৎপরতার সঙ্গে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে জোরদার আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

গত ২০ নভেম্বর রাত ৯টা নাগাদ কোলাঘাটের দেউলবাড় এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে গুলি করে খুন করা হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমীর পড়িয়াকে। দোকান বন্ধ করে মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকা প্রচুর গয়না এবং মোটা অঙ্কের নগদ টাকার ব্যাগ ছিনতাই হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মোট তিন দুষ্কৃতীর জড়িত থাকার কথা জানতে পারে। সাত দিনের মাথায় মহিষাদলের কাপাসএড়্যা থেকে শেখ ইশা হক নামে হাওড়ার এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু তার পরেও বাকি অভিযুক্তেরা অধরা। তারই প্রতিবাদে সোমবার কোলাঘাট থানায় স্মারকলিপি দেয় নাগরিক সুরক্ষা কমিটি। তাদের দাবি, এলাকায় দুষ্কৃতী কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি এলাকায় অস্থায়ী পুলিশ পিকেট বসানো, এলাকার নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা সংক্রান্ত দাবি নিয়ে পুলিশের দরজায় হাজির হন বাসিন্দারা।

ওই কমিটির মুখপাত্র নারায়ণচন্দ্র নায়েক বলেন, ‘‘সমীরের উপর নৃশংস হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এলাকার নাগরিক সমাজের উদ্যোগে নাগরিক কনভেনশনের মধ্য দিয়ে গঠিত হয়েছে ‘নাগরিক সুরক্ষা কমিটি’। সেই কমিটির পক্ষ থেকে বরদাবাড় বাজারে মোমবাতি মিছিল হয়েছে। বিডিও অফিসের সামনে আমরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছি। সেখানেও ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ঘটনার এক মাস কেটে যাওয়ার পরও অভিযুক্তরা অধরা। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।’’ যদিও এই প্রেক্ষিতে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE