Advertisement
E-Paper

স্টিকারই চেনাবে কারা রয়েছে সামাজিক সুরক্ষায় 

সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলা শ্রমিক মেলায় ওই বিশেষ স্টিকারের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন রাজ্য শ্রম দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সৈয়দ আহমেদ বাবা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ০০:০১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় অন্তর্ভুত উপভোক্তার বাড়িতে সাঁটানো হবে বিশেষ স্টিকার। যার ফলে সকলে জানতে পারবেন, কোন, কোন পরিবার প্রকল্পের দ্বারা ‘সুরক্ষিত’।

সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলা শ্রমিক মেলায় ওই বিশেষ স্টিকারের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন রাজ্য শ্রম দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সৈয়দ আহমেদ বাবা। এ দিন দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরের অফিসার্স ক্লাব মাঠে মেলার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব। ছিলেন জেলাশাসক আয়েষা রা‌নি, জেলা সভাধপতি মাধবী বিশ্বাস, অসংগঠিত শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। রাজ্য শ্রম দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মেলার মঞ্চ থেকে জানান, প্রকল্পে যাঁরা অন্তর্ভুক্ত হবেন, তাঁদের বাড়ির দরজায় অথবা বাইরের দেওয়ালে ওই স্টিকার সাঁটানো হবে। যাতে পরিবারটি যোজনার অন্তর্ভুক্ত সেটা সবাই জানতে পারবেন। এর ফলে অন্যেরাও প্রকল্পে বিষয়ে উৎসাহিত হবেন। অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত জেলায় ১ লক্ষ অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে জেলার আরও ২ লক্ষ ৭৭ হাজার অসংগঠিত শ্রমিকদের এই প্রকল্পে নথিভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।’’ অতিরিক্ত মুখ্যসচিব জানান, এ জন্য আবেদনপত্রের সরলীকরণ করা হচ্ছে। শ্রম দফতরের মাধ্যমে বাড়ি-বাড়ি আবেদনপত্র পৌঁছে দিয়ে পূরণ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আবেদনপত্র পূরণে সাহায্য করবেন দফতরের কর্মীরা। সেই পূরণ হওয়া আবেদনপত্র আবেদনকারীর বাড়ি থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হবে। অতিরিক্ত মুখ্যসচিব জানান, আগামী মার্চে সারা রাজ্যে ১ কোটিরও বেশি অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলার ডেপুটি শ্রম কমিশনার বিতান দে-র লেখা গানের সঙ্গে পটচিত্রের মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় সুফলগুলি ব্যাখ্যা করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার নয়া থেকে আসা পটচিত্রশিল্পী রানি ও সুষমা চিত্রকর। মঞ্চে উন্নয়নের গান শোনায় লোধা-শবর শিশুরা।

মেলা প্রাঙ্গণে সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ও তৎক্ষণাৎ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য শিবির করা হয়েছে। তিন দিনের মেলা চলবে বুধবার পর্যন্ত। প্রতি সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সোমবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন পুলহ সরকার। পরে মহুল ব্যান্ডের অনুষ্ঠান হয়। সঙ্গে ছিল কৌতুক শিল্পী দেবাশিস দণ্ডের পরিবেশনা।

SSY Samajik Suraksha Yojana
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy