Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

বইমেলায় ‘কন্যাশ্রী’রা ডুবে ফেলুদায়

এরা সকলেই ‘কন্যাশ্রী’। আর মেলায়  তাদের অভিভাবক হিসাবে দেখা গেল ভগবানপুর-১ এর বিডিওকে।

পছন্দের বইয়ের খোঁজে। —নিজস্ব চিত্র।

পছন্দের বইয়ের খোঁজে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভগবানপুর শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০৩
Share: Save:

শহর থেকে বহু দূরে প্রত্যন্ত গ্রামে তাদের স্কুল। স্কুলের গণ্ডির মধ্যে পড়াশুনা ছাড়া শহরের জগতের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই। বইমেলা বিষয়টি কেমন, তা নিয়েও খুব একটা ধারণা ছিল না অনেকেরই। এমন স্কুল ছাত্রীদের মঙ্গলবার এগরা মহকুমা বইমেলা ঘুরিয়ে দেখানো হল। ওই ছাত্রীদের অন্য পরিচয়ও রয়েছে। এরা সকলেই ‘কন্যাশ্রী’। আর মেলায় তাদের অভিভাবক হিসাবে দেখা গেল ভগবানপুর-১ এর বিডিওকে।

ভগবানপুর-১ ব্লকের উদ্যোগে এলাকার ‘কন্যাশ্রী’দের নিয়ে বইমেলার ভ্রমণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই মতো এ দিন সকালে ১০টি স্কুলের মোট ১০০ জন ‘কন্যাশ্রী’কে এগরা মহকুমা বইমেলায় শিক্ষামূলক ভ্রমণে আনা হয়। মূলত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীরা ওই দলে ছিল। ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই ভ্রমণের উদেশ্য ছিল প্রত্যন্ত এলাকায় পড়ুয়াদের সঙ্গে রাজ্য-দেশ-বিদেশের বিভিন্ন লেখকের বইয়ের যোগস্থাপন করা।

মেলায় এ দিন বিভিন্ন স্টলে ঘুরে নিজেদের পছন্দের বইয়ের পাতা উল্টাতে ব্যস্ত ছিল ‘কন্যাশ্রী’রা। এদের মধ্যে কেউ কিনেছে ফেলুদার বই। কেউ কিনল নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘উলঙ্গ রাজা’। ‘আসুটিয়া সরোজিনী বিদ্যাপীঠে’র দুই ছাত্রী অঙ্কিতা জানা এবং তনুশ্রী পাত্র বলে, ‘‘এক সঙ্গে এত বই কখনও দেখিনি। নিজেদের পছন্দের কিছু বই দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। টিফিনের জমানো টাকায় দুটো বই কিনেই নিলাম’।

এ দিনের এই ভ্রমণে ছাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন ভগবানপুর-১ এর বিডিও পঙ্কজ কোনার। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামের স্কুলে পড়াশুনা ছাড়া কন্যাশ্রীরা কখনও বইমেলায় যায়নি। শহরের বই মেলায় একসঙ্গে বিভিন্ন লেখকের বই দেখা, পড়ার দেখার সুযোগ করে দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ দিন ‘কন্যাশ্রী’দের সহ্গে ছিলেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ উত্তম বাঁকুড়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Book fair Bhagwanpur Kanyashree
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE