Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Sayantan Basu

বিজেপি-র থানা ঘেরাও, সরব সায়ন্তন

শুধু পুলিশ নয়, তৃণমূলের উদ্দেশেও এ দিন আক্রমণ শানিয়েছেন সায়ন্তন।

বিজেপি-র জমায়েত। নিজস্ব চিত্র

বিজেপি-র জমায়েত। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নারায়ণগড় শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:০০
Share: Save:

দলের নেতাকে মারধরের প্রতিবাদ জানাতে এসে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু। শনিবার নারায়ণগড়ে এসে পুলিশকে তৃণমূলের ‘দলদাস’ আখ্যা দেন সায়ন্তন। তারপর পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তাঁর হুঁশিয়া, ‘‘ছ’মাস পরে কোথায় থাকবেন ভেবে নিন। এই সুখের জীবন আর থাকতে দেব না।’’

শুধু পুলিশ নয়, তৃণমূলের উদ্দেশেও এ দিন আক্রমণ শানিয়েছেন সায়ন্তন। পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্বকে মারধরের পাল্টা নিদান দিয়েছেন। পাল্টা মারের কথা জানিয়ে এ দিন সায়ন্তন বলেন, ‘‘এমন মার মারুন, যাতে আগামী চোদ্দ পুরুষ বিজেপির দিকে তাকাতে না পারে।’’

শনিবার ছিল বিজেপির নারায়ণগড় থানা ঘেরাও ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় বিজেপির নারায়ণগড় উত্তর মণ্ডলের সভাপতি সত্যজিৎ দে ও সাধারণ সম্পাদক গিরিজাপ্রসাদ দে-কে মারধর করা হয় বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। মকরামপুর পঞ্চায়েত এলাকার মুড়াকাটাতে ওই মারধরের ঘটনাটি ঘটে। তবে ঘটনার দু’দিন পরেও দোষীদের গ্রেফতার না করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও থানা ঘেরাও কর্মসূচি ছিল এ দিন। নারায়ণগড়ের চাতুরিভাড়া থেকে থানা পর্যন্ত প্রথমে মিছিল করার কথা ছিল। তবে থানার অনেকটা আগেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয় মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের। পরে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সায়ন্তন বলেন, ‘‘দোষীদের পুলিশ ধরতে যদি না পারে, হাত ভেঙে, চুন মাখিয়ে হলুদ মাখিয়ে, নুন আর লঙ্কা ছড়িয়ে পরে থানায় জমা করে দিন।’’ বিজেপি-র মিছিলকে ঘিরে এ দিন এলাকায় উত্তেজনা ছিল। এ দিনের কর্মসূচিতে ছিলেন বিজেপির মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শমিত দাশ ও অন্যরা।

সায়ন্তন এ দিন পুলিশের পাশাপাশি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতিকেও আক্রমণাত্মক ভাষায় কটাক্ষ করেছেন। যার প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত বলেন, ‘‘মঞ্চে এবং মাইকে নেতা। মাটির নেতা সায়ন্তন নন। আর আমি সেই গোত্রের নই। বিজেপির নেতারা যতই এরকম প্ররোচনা ছড়াবেন ততই তাঁদের দল ভেঙে তৃণমূলে আসবে। সেটা আটকাতে পারবেন না।’’

কিন্তু মারধরে অভিযুক্তদের কেন পুলিশ ধরেনি? খড়্গপুরের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। মামলা দায়ের হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Sayantan Basu
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE