Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Mrigendranath Maity

সাতাত্তরেও ত্রাণ নিয়ে ছুটছেন তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ

অনেকেই তাঁকে ঘরবন্দি থাকার পরামর্শ দিলেও বিধায়ক অবশ্য নাছোড়! তিনি জানিয়েছেন, এই কঠিন সময়ে তাঁর পক্ষে ঘরে বসে থাকা অসম্ভব!

ত্রাণ নিয়ে মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি নিজস্ব চিত্র

ত্রাণ নিয়ে মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৫১
Share: Save:

লকডাউনে অনেক নেতাকর্মীই ঘরবন্দি। তবে তাঁকে ঘরে ‘বন্দি’ রাখা যাচ্ছে না! বয়স আশি ছুঁইছুঁই। পরনে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি। ত্রাণসামগ্রী নিয়ে নিজের নির্বাচনী এলাকার একের পর এক গ্রামে মানুষের কাছে তিনি ছুটে যাচ্ছেন। তিনি মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি।

অনেকেই তাঁকে ঘরবন্দি থাকার পরামর্শ দিলেও বিধায়ক অবশ্য নাছোড়! তিনি জানিয়েছেন, এই কঠিন সময়ে তাঁর পক্ষে ঘরে বসে থাকা অসম্ভব! প্রবীণ বিধায়কের কথায়, ‘‘মানুষ আমাকে নির্বাচিত করেছেন। এই সময়ে মানুষের কাছে পৌঁছনো খুব জরুরি। যাতে কোনও সমস্যা হলে সে কথা জানতে পারি। দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে পারি।’’

বয়স ৭৭। রাজ্য-রাজনীতিতে সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নেতা হিসেবেই পরিচিতি মৃগেন্দ্রনাথ। এক সময়ে অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। মেদিনীপুর থেকে দু’দফায় বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ২০১১ এবং ২০১৬ সালে। মৃগেন্দ্রনাথ মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এমকেডিএ) চেয়ারম্যানও। জেলার বিধায়কদের মধ্যে মৃগেন্দ্রনাথই সবচেয়ে প্রবীণ। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির বলেন, ‘‘মৃগেনদা আমাদের অভিভাবক। দলীয়ভাবেও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আমরা মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিচ্ছি।’’

রোজ বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন মৃগেন্দ্রনাথ। রুটিন প্রায় একই। দুপুরে থাকছেন এমকেডিএ- র অফিসে। সন্ধ্যায় থাকছেন কর্মচারী সংগঠন ফেডারেশনের অফিসে। বিকেলে যাচ্ছেন কোনও না কোনও এলাকায়। ক্লান্তি নেই প্রবীণ বিধায়কের। মৃগেন্দ্রনাথ বলছিলেন, ‘‘বয়স কখনও বাধা নয়। আমি ভালই আছি। মানুষের কাছে ভালবাসা পাচ্ছি। এটাই তো বড় প্রাপ্তি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mrigendranath Maity TMC MLA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE