E-Paper

কাজের খোঁজে স্থায়ী বাসিন্দা, চিন্তা এসআইআর

স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে থাকেন গ্যারেজের কর্মী সুরেশ সাউ। সুরেশ দু'দশক আগে বিহার থেকে কাজের খোঁজে চন্দ্রকোনা রোডে এসেছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:১৮
এসআইআরের ফর্ম পূরণ করছেন মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব, চন্দ্রকোনা রোডে।

এসআইআরের ফর্ম পূরণ করছেন মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব, চন্দ্রকোনা রোডে। —নিজস্ব চিত্র।

পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ওঁরা এসেছিলেন চন্দ্রকোনা রোডে। কেউ দু’দশক, কেউ দেড় দশক আগে। ধীরে ধীরে এখানেই স্থায়ী হয়ে গিয়েছেন। অনেকে সংসারও করেছেন। এসআইআর আবহে ছন্দ কেটেছে তাঁদের জীবনে। এখন দিনের অনেকটা সময় যাচ্ছে নথি খুঁজতেই।

স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে থাকেন গ্যারেজের কর্মী সুরেশ সাউ। সুরেশ দু'দশক আগে বিহার থেকে কাজের খোঁজে চন্দ্রকোনা রোডে এসেছিলেন। এখানেই থেকে গিয়েছেন। হঠাৎ করে চিন্তার মেঘ তাঁর পরিবারে। গত দু'দিন ধরে কাজেও যেতে পারছেন না। কেন? বছর চল্লিশের সুরেশের উত্তর, "এসআইআরের জন্য নথি জোগাড় করতেই তো দিন চলে যাচ্ছে। দেশ বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ নেই। বাবা নেই, মা থাকেন আর এক ভাইয়ের কাছে। তাঁরা কোথায় থাকেন তাও জানি না। ২০০২ সালে বাবা-মায়ের নাম ভোটার তালিকায় ছিল কি না বুঝতে পারছি না।’’ ট্রাক চালক বিজয় সিংহ ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছিলেন। অবিবাহিত বিজয় বছর দশেক ধরে চন্দ্রকোনা রোডে আছেন। তাঁর বাবা-মা ঝাড়খণ্ডের ভোটার। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম খোঁজার চেষ্টা করছেন বিজয়। বলছেন, "পঞ্চায়ত থেকে এখানকার স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট নিয়ে এসআইআরের ফর্মের সঙ্গে জমা দেব। তার পর শুনানিতে ডাকলে যাব।"

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

midnapore Chandrakona Road

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy