বাড়ি গেলেন স্যালাইন কাণ্ডে অসুস্থ মিনারা বিবি

১৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে মঙ্গলবার এসএসকেএম থেকে ছুটি পেলেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের প্রসূতি মিনারা বিবি। এ দিন সকালে ১৪ জন চিকিৎসকের মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে পরীক্ষা করে বাড়ি যাওয়ার বিষয়ে সম্মতি দেয়। এর পরে দুপুরে সরকারি ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করেই পশ্চিম মেদিনীপুরের দিকে রওনা দেন ওই প্রসূতি। তবে নাসরিন খাতুন ও মাম্পি সিংহ এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ওই দু’জনের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।

গত ১২ জানুয়ারি রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়েছিল ওই তিন প্রসূতিকে। মাম্পি ও মিনারাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে এবং নাসরিনকে আইটিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রের খবর, নাসরিন ও মাম্পি ভেন্টিলেশনে থাকলেও, মিনারাকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয়েছিল। প্রথম দিকে প্রতি মিনিটে ১০ লিটার করে অক্সিজেন দিতে হচ্ছিল। ধীরে ধীরে তার মাত্রা কমানো হয়। দিন কয়েক আগে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় মিনারাকে নেফ্রোলজি বিভাগের একটি বিশেষ ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। তবে অল্প জ্বর আসায় এবং একা ওই ওয়ার্ডে থাকতে রাজি না হওয়ায় মিনারাকে ফের সিসিইউ-এর একটি পর্যবেক্ষণ কক্ষে এনে রাখা হয়েছিল। এ দিন অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠার সময়ে তাঁর কাছে সময়ে জানতে চাওয়া হয়, ৮ জানুয়ারি রাতে জুনিয়র চিকিৎসকেরা কি তাঁর অস্ত্রোপচার করেছিলেন? উত্তরে মিনারা বলেন, ‘‘আমার কিছু মনে নেই।’’

এসএসকেএমের সুপার পীযূষ রায় বলেন, ‘‘মিনারাকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো গিয়েছে। নাসরিন ও মাম্পির এখনও ডায়ালিসিস লাগছে।’’ জানা যাচ্ছে, গত ২০ জানুয়ারি মাম্পির ভেন্টিলেশন খুলে দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণের মাত্রাও কমেছে। এ দিন তাঁর এন্ডোস্কোপি করা হয়েছে। অন্য দিকে নাসরিনকে পরীক্ষামূলক ভাবে ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হলেও, পরবর্তী সময়ে আবারও তা দিতে হয়েছে। তবে ভেন্টিলেশনের মাত্রা কমানো হয়েছে। ওই দু’জনেরই সংক্রমণের মাত্রা আগের থেকে কম।