সভাপতি বলছেন ভরসা রাখুন। কিন্তু সে বার্তা পৌঁচচ্ছে কি? কারণ, রবিবার চন্দ্রকোনা রোডের একটি লজে তাপসকে সংবর্ধনা দেয় বিজেপির শালবনি ও গড়বেতা বিধানসভার বিভিন্ন মণ্ডল কমিটি। সভায় দিলীপ, তাপস ছাড়াও যে দু'জন বক্তৃতা করেন তাঁরা হলেন ধীমান কোলে ও প্রদীপ লোধা। এ বার বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ধীমান ও প্রদীপই দলের ঘোষিত প্রার্থীকে মানতে না পেরে নিজেরাই 'নির্দল' প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। গড়বেতায় দলের ঘোষিত প্রার্থী ছিলেন মদন রুইদাস। শালবনিতে রাজীব কুণ্ডু। ধীমান শালবনি ও প্রদীপ গড়বেতা কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে দু’জনই প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করেন। এ দিনে মদন ও রাজীব উপস্থিত থাকলেও তাঁরা বক্তৃতা করেননি। বক্তৃতা করেন ধীমান, প্রদীপ দু'জনই। দিলীপ ও তাপসের সামনেই ধীমান বলেন, ‘‘দলে মানসিকতার খামতি ছিল। বিশ্বাসের পরিবেশ, শ্রদ্ধা ও সম্মানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।’’ এই মন্তব্যে সভায় হাততালি পড়ে। যদিও সভাশেষে এ নিয়ে দিলীপকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘‘আমি জানি না এরকম পরিবেশ ছিল কি না। তবে সবার জন্য জায়গা আছে পার্টিতে।’’ সভার শেষে নিজের বক্তব্যে অনড় থেকে ধীমান বলেন, ‘‘যা সত্যি সেটাই বলেছি।’’
মেদিনীপুর-চন্দ্রকোনা থেকে ফের মেদিনীপুর। এ দিন বিকেলে মেদিনীপুরে দলের জেলা কার্যালয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে নতুন জেলা সভাপতিকে। জেলার নেতাকর্মীদের উদ্যোগেই ছিল এই সংবর্ধনা। বিজেপি সূত্রের খবর, বহু নেতাকেই এ দিনের সভায় দেখা যায়নি। আগে বিজেপির জেলা সভাপতি ছিলেন সৌমেন তিওয়ারি। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় এই পদ থেকে। নতুন সভাপতি হন তাপস। এর আগে তিনি দলের জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। তাপস আরএসএস- এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এক সময়ে। বছর দুয়েক আগে বিজেপিতে আসেন। বয়সে প্রবীণ নতুন জেলা সভাপতি বারবারই নবীন-প্রবীণের মেলবন্ধনে দল চালানোর কথা বলছেন। তাঁর উপর ভরসা রাখার আবেদন করছেন। কিন্তু কাজ হচ্ছে কি? এক বিজেপি নেতা বললেন, ‘‘আপাতত মিশ্র প্রতিক্রিয়াই পাচ্ছেন তাপস। দেখা যাক কী হয়।’’