Advertisement
E-Paper

দু’সপ্তাহ ধরে আলো জ্বলেনি ভেদাকুই গ্রামে

উন্নয়নের জঙ্গলমহলে টানা ১৫ দিন বিদ্যুৎ নেই বেলপাহাড়ির ভেদাকুই গ্রামে! বিদ্যুতের অভাবে ভরা বর্ষায় চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। সপ্তাহ দু’য়েক আগে বাজ পড়ে গ্রামের ২৫ কেভি বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মারটি পুড়ে যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৬ ০২:০০

উন্নয়নের জঙ্গলমহলে টানা ১৫ দিন বিদ্যুৎ নেই বেলপাহাড়ির ভেদাকুই গ্রামে! বিদ্যুতের অভাবে ভরা বর্ষায় চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। সপ্তাহ দু’য়েক আগে বাজ পড়ে গ্রামের ২৫ কেভি বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মারটি পুড়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখে যান বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার কর্মীরা। কিন্তু তারপর আর ট্রান্সফর্মার বসানো হয়নি।

ভেদাকুই গ্রামে দেড়শো পরিবারের বাস। বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা ৭৮ জন। গত ১৪ জুন বাজ পড়ে গ্রামের ২৫ কেভি বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মারটি পুড়ে যায়। পরদিনই বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার বেলপাহাড়ি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানান গ্রামবাসীরা। কিন্তু তারপর ১৫ দিন কেটে গেলেও নতুন ট্রান্সফর্মার বসানো হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের কয়েকজন গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে। সেই কারণে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃত ভাবে নতুন ট্রান্সফর্মার বসাচ্ছেন না। বার বার বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার বেলপাহাড়ি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েও সমস্যার সুরাহা হচ্ছে না।

স্থানীয় ভেদাকুই জুনিয়র হাইস্কুলের পড়ুয়া নীতিশ মাহাতো, প্রিয়াঙ্কা মাহাতোদের কথায়, “এতদিন বিদ্যুতের আলোয় পড়াশোনা করেছি। এখন লম্ফের আলোয় পড়তে খুবই সমস্যা হচ্ছে।” গ্রামের তরুণ প্রদ্যোৎ মাহাতো শিলদা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। প্রদ্যোৎ বলেন, “বর্ষায় রাস্তাঘাটে সাপের ভয়। এখন টর্চের তুলনায় মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইটই বেশি ব্যবহার করেন পথচারীরা। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে গত ১৫ দিন মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়া যাচ্ছে না। যাঁদের খুব প্রয়োজন তাঁরা অন্য গ্রামে গিয়ে মোবাইলে চার্জ দিচ্ছেন।”

গত সোমবার গ্রামবাসীরা বিদ্যুতের দাবিতে বেলপাহাড়ি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময় বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেন, মঙ্গলবারের মধ্যে নতুন ট্রান্সফর্মার বসিয়ে সংযোগ চালু করা হবে। কিন্তু তা আর হয়নি।

বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার সূত্রের খবর, ভেদাকুই গ্রামে গ্রাহকের সংখ্যা ৭৮ জন। এর মধ্যে কেবলমাত্র ২৬ জন গ্রাহক নিয়মিত বিল মেটান। বাকি ৫২ জন গ্রাহকের দীর্ঘ কয়েক মাসের ৬৬,৭৮১ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে।

বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার ঝাড়গ্রামের ডিভিশনাল ম্যানেজার (ইলেকট্রিক্যাল) উজ্জ্বল রায় বলেন, “বাজ পড়ে বহু জায়গায় ট্রান্সফর্মার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভেদাকুই গ্রামের জন্য নতুন ট্রান্সফর্মার বরাদ্দ করা হয়েছে। এক-দু’দিনের মধ্যেই নতুন ট্রান্সফর্মার বসানো হবে।”

Electricity
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy