Advertisement
E-Paper

মাঠে প্রাতঃকৃত্যে গিয়ে হাতির মুখোমুখি, মৃত্যু

এ দিন ভোরে ঘন কুয়াশার মধ্যে প্রাতঃকৃত্য সারতে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন বঙ্কিম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২০ ০১:২২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বন দফতরের সচেতন-প্রচারেও কাজ হচ্ছে না। ফের মাঠে প্রাতঃকৃত্য সারতে গিয়ে হাতির হানায় প্রাণ হারালেন এক বৃদ্ধ। মঙ্গলবার সকালে লালগড়ের জঙ্গলঘেরা পডিহা গ্রামে মৃতের নাম বঙ্কিম হাঁসদা (৬৫)। তাঁর বাড়ি পডিহা গ্রামেই।

এ দিন ভোরে ঘন কুয়াশার মধ্যে প্রাতঃকৃত্য সারতে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন বঙ্কিম। লালগড়ের জঙ্গলে রয়েছে হাতির দল। বন দফতর সূত্রের দাবি, এলাকাবাসীকে আগাম সতর্ক করা হয়েছে। এলাকার বিশিষ্টজনকে মেসেজ করে হাতির দলের অবস্থানের কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পডিহা গ্রামের লাগোয়া জঙ্গলে রয়েছে ৩টি হাতি। অদূরে কামরাঙির জঙ্গলে রয়েছে ৪৫টি হাতির দল। বঙ্কিমের বাড়িতে রয়েছে সরকারি প্রকল্পের শৌচাগার। কিন্তু পরিজনদের দাবি, তিনি শৌচাগার ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিলেন না। এদিন ভোরে বাড়ি থেকে বেরোলেও আর ফেরেননি বঙ্কিম। সকাল সাতটা নাগাদ গ্রামবাসীরা লক্ষ করেন বাড়ির অদূরে পড়ে রয়েছে তাঁর থেঁতলানো দেহ। দেহের পাশে হাতির একাধিক পায়ের ছাপ ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ও বনকর্মীরা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠান। বঙ্কিমের পড়শি পডিহা গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণ হেমব্রম বলেন, ‘‘প্রবীণ বঙ্কিমবাবু শৌচাগার ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিলেন না। তাই তিনি অভ্যাসবশত এ দিন মাঠে গিয়েছিলেন। তখনই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এলাকায়

এত হাতি থাকলে মানুষ বাঁচবেনই বা কী করে? সেটাও তো বন দফতরের দেখা উচিত।’’

ডিএফও (মেদিনীপুর) সন্দীপ বেরোয়াল বলেন, ‘‘এলাকাবাসীকে মেসেজ করে ও মাইকে প্রচার করে হাতির অবস্থানের কথা জানানো হয়েছে। মানুষকেও সচেতন হতে হবে। তাহলেই এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা এড়ানো হবে। মৃতের পরিবারকে সরকারি নিয়ম আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’

Death Elephant Attack
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy