দূষণ প্রতিরোধে পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (সলিড, লিকুইড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট) প্রকল্প গড়ার উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন। জেলার মহিষাদল ব্লকের ইটামগরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত ও শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের রঘুনাথপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প সফল হলে জেলার অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতেও তা চালু করা হবে। বুধবার সকালে মহিষাদলের ইটামগরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাপাসেড়িয়ায় ২০ ডেসিমেল জমিতে নিমীর্য়মাণ ‘সলিড, লিকুইড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্য। জেলাশাসক জানান, পরীক্ষামূলকভাবে শহিদ মাতঙ্গিনী ও মহিষাদল ব্লকে এই প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। জেলাশাসকের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অজয় পাল, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তিলক চক্রবর্তী, মহিষাদলের বিডিও তন্ময় বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ।
জেলাশাসকের দাবি, ইটামগরা পঞ্চায়েত এলাকার প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। অন্য দিকে, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিও সৌগত মাইতি জানান, রঘুনাথপুর-১ পঞ্চায়েত এলাকায় এই প্রকল্পের জন্য ২০ লক্ষ টাকা এসে গিয়েছে। শীঘ্রই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
জেলাপ্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘নির্মল ভারত প্রকল্প’-এর আর্থিক সহযোগিতায় এই কাজ হচ্ছে। প্রতিটির জন্য ব্যয় হবে ২০ লক্ষ টাকা। এই প্রকল্পে ওই দু’টি পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে আনা হবে। তারপর ওই বর্জ্য পচিয়ে কেঁচো সার তৈরি করা হবে। ইটাগমরা পঞ্চায়েত এলাকায় দু’টি স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীর মহিলারা এই কাজ করবে। এ জন্য ওই পঞ্চায়েতের প্রধান, নিমাণ সহায়ক, স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। রঘুনাথপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই কাজ করবে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন সহযোগিতা করবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
ইটামগরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রামকৃষ্ণ দাস জানান, এলাকা থেকে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে এই প্রকল্পে আনা হবে। পরে বর্জ্য পদার্থ পচিয়ে কেঁচো সার তৈরি করা হবে। পচনশীল ব্যতীত অন্য বর্জ্য পদার্থ ব্যবস্থাপনার জন্য হলদিয়ার সংস্থাকে দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কথাও বলা হয়েছে। তাছাড়াও এই প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত সার স্থানীয় একটি সমবায় সমিতি কিনে নেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy