পরীক্ষা হয়েছে গত জুন মাসে। তারপর পাঁচ মাস পেরোতে চললেও এখনও প্রকাশিত হয়নি ফল। সমস্যায় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজগুলির স্নাতকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা।
স্নাতকের পার্ট-টু পরীক্ষার ফল প্রকাশে কেন এত বিলম্ব? সদুত্তর নেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তীর দাবি, “শীঘ্রই ফলপ্রকাশ হবে।” যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা মানছেন, “কবে ফলপ্রকাশ হবে এখনই বলা মুশকিল! কমপক্ষে আরও এক-দেড় সপ্তাহ পর ফলপ্রকাশ হতে পারে! আরও বেশি দেরিও হতে পারে!”
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৩৩টি কলেজ রয়েছে। স্নাতকের পার্ট-টু পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দশ হাজারেরও বেশি। পরীক্ষার ফল প্রকাশিত না হলেও তৃতীয় বর্ষের ক্লাস চলছে পুরোদমে। প্রতি বছরই পার্ট-টু পরীক্ষার পরই তৃতীয় বর্ষের পড়াশোনা শুরু হয়ে যায়। পরীক্ষার মাস তিনেকের মধ্যে বেরিয়ে যায় ফলও। দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় যাঁরা অকৃতকার্য হন, তাঁরা ফের পার্ট-টু পরীক্ষায় বসেন। পার্ট-থ্রি’র পরীক্ষা হয় মার্চ-এপ্রিলের দিকে।
এ বারও এখনও পরীক্ষার ফল না বেরনোয় দুশ্চিন্তায় পড়ুয়ারা। পার্ট-টু’র পরীক্ষার্থী সৃজিতা নাগ, শিউলি পারভিন, শ্যাম পাত্র, দর্পনা দত্তদের কথায়, “দ্রুত ফল বেরোলেই ভাল। এখন ফলপ্রকাশের অপেক্ষাতেই রয়েছি!” বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সূত্রে খবর, এ বার পার্ট-টু’র খাতা দেখা শুরুই হয় অনেক দেরিতে। স্বভাবতই তা জমা পড়ে দেরিতে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ কথা মানতে নারাজ। ফলপ্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় সরব হয়েছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোও। ডিএসও-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি দীপক পাত্র বলেন, “কবে পরীক্ষা হয়েছে। এতদিন হয়ে গেল। অথচ, এখনও পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হল না।” তাঁর কথায়, “এরফলে পরীক্ষার্থীরাও সমস্যার মধ্যে রয়েছেন।” এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি সৌমিত্র ঘোড়ই বলেন, “ফলপ্রকাশে এতটা বিলম্ব কেন বুঝতে পারছি না! পরীক্ষার্থীরা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন।”
এ বারই তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফল দ্রুত প্রকাশ করতে উদ্যোগী হন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পার্ট-থ্রি পরীক্ষার ৪৯ দিনের মাথায় ফল প্রকাশিত হয়। তাহলে দ্বিতীয় বর্ষের ফল দ্রুত প্রকাশ করা যাচ্ছে না কেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তার আশ্বাস, “আগামী দিনে পার্ট-টু’র ফলও স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তড়িঘড়ি ফলপ্রকাশের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা থাকে। ত্রুটি থাকতে পারে। একটু সময় নিয়ে ফলপ্রকাশ করলে ত্রুটির সম্ভাবনা কম থাকে।”