ডোমঘাটে পারাপার যাত্রীদের।
পাঁশকুড়া ব্লকের মধ্যে অন্যতম ব্যস্ত নৌকাঘাট হল ডোমঘাট।পঁচিশটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এই ঘাট দিয়ে নিয়মিত পারাপার করেন। ডোমঘাটে কংক্রিটের সেতু তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে ডোমঘাট সেতু নিয়ে এলাকার মানুষের দাবির কথা বলতে গিয়েছিলেন বিধায়ক ফিরোজা বিবি। অথচ বিধায়কের কথা কানেই তোলেননি মমতা। যা দেখে কার্যত হতাশ পাঁশকুড়ার মানুষ।
পাঁশকুড়া ব্লকের মাঝ বরাবর বয়ে গিয়েছে কংসাবতী নদী। নদীর দুই পাড়েই রয়েছে ঘন জনবসতি। প্রতাপপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ডোমঘাট জায়গাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নদীর একদিকে পাঁশকুড়া শহর। অন্যদিকে চৈতন্যপুর ১ ও ২, হাউর ,ঘোষপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজনকে ডোমঘাটে নদী পেরিয়ে আসতে হয় পাঁশকুড়া শহরে। নদীর দুই পাড়েই রয়েছে ফুল ও আনাজের খেত। রয়েছে একাধিক স্কুল।কৃষক, পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলকেই নদী পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ডোমঘাট এলাকায় কংসাবতী নদীর গভীরতাও যথেষ্ট। শুখা মরসুমে জল কমে যাওয়ায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার চলে। বর্ষায় সাঁকো ভেঙে গেলে ভরসা নৌকা। ওই জায়গায় একটি কংক্রিটের সেতু তৈরির জন্য এলাকার মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন।
গত বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে পাঁশকুড়া পশ্চিমের বিধায়ক ফিরোজা বিবি মুখ্যমন্ত্রীকে ডোমঘাট সেতু নিয়ে বলতে গেলে মমতা বলেন, ‘‘ওসব পরে হবে। আগে একশো দিনের টাকা জোগাড় করতে দিন।’’ মুখ্যমন্ত্রী সেতুর কথা না শোনায় হতাশ পাঁশকুড়ার মানুষ। বিষয়টি নিয়ে সরব পরিবহণ যাত্রী কমিটি।কমিটির মুখপাত্র নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, ‘‘পাঁশকুড়া ফুল ও আনাজের এলাকা। প্রতি দিন কয়েক হাজার কৃষককে ডোমঘাট দিয়ে পারাপার হতে হয়। ডোমঘাটে কংক্রিটের সেতু অত্যন্ত জরুরি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয় বিধায়কের দাবি কানেই তুললেন না। আমরা হতাশ। ওখানে আদৌ আর সেতু হবে কি না কে জানে!’’ যদিও বিধায়ক ফিরোজা বিবির দাবি, ‘‘২০১৬ সালে আমি প্রজাবাড় সেতু নিয়ে যখন বলেছিলাম তখনও মুখ্যমন্ত্রী না বলে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে উনি অনুমোদন দিয়েছিলেন।প্রজাবাড় সেতু তৈরি কাজ শেষের পথে।আমার বিশ্বাস ডোমঘাটে সেতু তৈরির অনুমোদনও মিলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy