Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
jangalmahal

Yellow Flag : কুড়মিদের সংগঠিত করছে মঞ্চ

পৃথক ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দাবিতে গেরিলা আন্দোলনের জন্য নির্মল বোড়োল্যান্ড ও গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের নেতৃত্বদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন।

তোলা হয়েছে হলুদ পতাকা। নিজস্ব চিত্র

তোলা হয়েছে হলুদ পতাকা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২১ ০৭:১৪
Share: Save:

জঙ্গলমহলে স্ব-শাসনের দাবিতে শহর-গ্রামে হলুদ ঝান্ডা তুলে শুরু হল কুড়মি সমন্বয় মঞ্চের জনজাগরণ কর্মসূচি।

তবে এ বার কুড়মি-আন্দোলনের কৌশল বদল করা হচ্ছে? কুড়মি সামাজিক সংগঠনের নেতারা অবশ্য বলছেন, কুড়মিদের আদিবাসী তালিকাভুক্তি, কুড়মালি ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি, সারনা ধর্মের কোড চালু, ছোটনাগপুর প্রজাস্বত্ব আইন লাঘুর মতো গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলি আজও উপেক্ষিত। এই বঞ্চনার অবসানে জঙ্গলমহলের স্বশাসন প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে জঙ্গলমহলের গ্রামে গ্রামে ও শহরের প্রতিটি এলাকায় কুড়মিদের সংগঠিত করতে কুড়মি জাতির শৌর্যের প্রতীক ‘জয় গরাম’ লেখা হলুদ পতাকা তোলা হচ্ছে। সোমবার ঝাড়গ্রাম শহরের চাঁদাবিলা ও বংশী মোড় এলাকায় হলুদ পতাকা তোলেন কুড়মি সমন্বয় মঞ্চের সদস্যরা। মঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে, অগস্টে ঝাড়খণ্ড আন্দোলনের নেতা প্রয়াত নির্মল মাহাতোকে স্মরণ করে জোরদার আন্দোলন শুরু হবে। ৮ অগস্ট নির্মল মাহাতোর মৃত্যুদিনে অরণ্যশহরের চাঁদাবিলায় শহিদ বেদি স্থাপন করে ‘সংকল্প দিবস’ হবে।

১৯৮৬ সালে নির্মলের উদ্যোগে ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (এজেএসইউ) গঠন করে বৃহত্তর ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। পৃথক ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দাবিতে গেরিলা আন্দোলনের জন্য নির্মল বোড়োল্যান্ড ও গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের নেতৃত্বদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন। তবে ১৯৮৭ সালের ৮ অগস্ট জামশেদপুরে আততায়ীর গুলিতে খুন হন ৩৬ বছরের নির্মল। পরে ঝাড়খণ্ড আন্দোলন জোরদার হয়। অবশেষে ২০০০ সালের ১৫ নভেম্বর বিহার ভেঙে ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠিত হয়। পশ্চিম সীমান্ত বাংলার মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার প্রস্তাবিত এলাকাগুলি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের অর্ন্তভুক্ত হয়নি।

এখন অবশ্য বৃহত্তর ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দাবি থেকে সরে এসে কুড়মি সামাজিক সংগঠনগুলি এখন জঙ্গলমহলের স্বশাসনের দাবিটিকেই সামনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে। কুড়মি সমন্বয় মঞ্চের নেতা অশোক মাহাতো বলছেন, রাজ্য গঠন হলেই সমস্যার সমাধান হবে সেটা আমরা মনে করি না। সেই কারণে জঙ্গলমহলের উন্নয়নের জন্য ও কুড়মিদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে স্বশাসনের দাবিটিও যুক্তিযুক্ত।’’ অশোক জানাচ্ছেন, ঝাড়খণ্ড রাজ্য হওয়ার পরে পশ্চিম সীমান্ত বাংলার জেলাগুলিতে স্বশাসনের দাবি বিভিন্ন সময়ে উঠেছে। কিন্তু স্বশাসনের দাবিতে সেভাবে সংগঠিত আন্দোলন হয়নি। এ বার সেই আন্দোলনের আগে প্রতিটি এলাকায় কুড়মি সংস্কৃতির মানুষজনকে সংগঠিত করার কাজ শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

jangalmahal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE