পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের ভবানীপুর অঞ্চলে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের ‘আমার পাড়া আমার সমাধান’ প্রকল্প। কিন্তু প্রকল্পের প্রথম দিনেই দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে চকরাজপুর থেকে আকালপৌষ পর্যন্ত প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তা বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এই বিষয়ে ডেবরার বিধায়কের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শনিবার থেকে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচিতে নতুন দু’টি কাজ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। তার মধ্যে একটি ‘রাস্তা’। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, গোটা রাজ্যে সড়কের যে হাল, তাতে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। তা ঠেকাতেই রাস্তার কাজটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আধিকারিকদের একাংশ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গত নির্বাচনের আগে এলাকায় এলাকায় ঘুরে মানুষের যে মনোভাব বোঝার চেষ্টা প্রশাসন করেছিল, তাতে বেশিরভাগ অভিযোগ ছিল রাস্তার বেহাল দশা নিয়েই। এই কর্মসূচি শুরুর ঠিক আগে রাস্তা মেরামতের বিষয়টি তালিকাভুক্ত হওয়াকে অর্থবহ বলে মনে করছেন আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন:
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার বেহাল দশার কারণে চরম সমস্যায় পড়ছে কুমারশান্ডা স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিপদ মান্না বলেন, “রাস্তা এতটাই খারাপ যে অনেক ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে পারছে না। যারা ছিল তারাও অন্যত্র চলে যাচ্ছে। বহুবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি।” জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি জানান, ‘আমার পাড়া আমার সমাধান’ প্রকল্প কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে এই সংক্রান্ত জেলায় ৩৩টি শিবির করা হয়েছিল। বেহাল রাস্তাগুলি ঠিক করার দ্রুত চেষ্টা করা হবে।
এ দিন প্রকল্পের সূচনায় উপস্থিত ছিলেন ডেবরার বিধায়ক। তাঁর সামনেই রাস্তাঘাট মেরামতের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে গ্রামবাসী। এলাকাবাসীর ক্ষোভ স্বীকার করে ভবানীপুর অঞ্চলের প্রধান জগন্নাথ মুলা বলেন, “মানুষের দাবি একেবারেই সঠিক। রাস্তার অবস্থা সত্যিই বেহাল।” ডেবরা ব্লকের বিডিও প্রিয়ব্রত রাড়িও স্বীকার করেছেন সমস্যার কথা। তিনি জানিয়েছেন, দ্রুত রাস্তা মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।