মেদিনীপুরে প্রাথমিক ক্রীড়া। — সৌমেশ্বর মণ্ডল।
দুই সংসদের কাজিয়ায় ভুগতে হল প্রাথমিক ক্রীড়ার প্রতিযোগীদের।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক ক্রীড়ার আসর বসেছে মেদিনীপুর অরবিন্দ স্টেডিয়ামে। অথচ স্টেডিয়ামের বদলে জাম্পের একাধিক ইভেন্ট করতে হল মেদিনীপুর কলেজ মাঠে। স্টেডিয়াম থেকে কলেজ মাঠে আসতে হল প্রতিযোগীদের। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের কাজিয়াতেই এই পরিস্থিতি। জেলার শিক্ষা-ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র অবশ্য বলেন, “দুই সংসদের মধ্যে বড় কোনও সমস্যা হয়েছে বলে শুনিনি। ভুল বোঝাবুঝির জন্য ছোটখাটো কোনও সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। খোঁজ নিচ্ছি।” তবে জেলা পরিষদের এক কর্তার কথায়, “প্রাথমিক ক্রীড়াকে ঘিরে এমন ঘটনা না ঘটলেই ভাল হত।”
সোমবার থেকে মেদিনীপুরে শুরু হয়েছে জেলা প্রাথমিক ক্রীড়া। চলবে আজ, বুধবার পর্যন্ত। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক ক্রীড়া পর্ষদের নির্দেশ রয়েছে, জেলার প্রাথমিক ক্রীড়া বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের সহযোগিতায় সম্পন্ন করতে হবে। অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুরে তা হয়নি। বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের কোনও রকম সহযোগিতা না নিয়েই জেলা প্রাথমিক ক্রীড়ার আয়োজন করেছে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। তার জেরে দুই সংসদের বিরোধ পৌঁছেছে চরম পর্যায়ে। জাম্পের জন্য, বিশেষ করে হাইজাম্পের জন্য যে গদি লাগে তা জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের কাছে রয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ তা চেয়েও পায়নি। বাধ্য হয়ে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে গদি আনাতে হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠান আবার জানিয়ে দেয়, গদি স্টেডিয়ামে নয়, নিয়ে যাওয়া যাবে কলেজ মাঠ পর্যন্ত। উপায় না দেখে কলেজ মাঠেই হাইজাম্পের ইভেন্ট করতে হয়।
তবে বিরোধের কথা মানতে নারাজ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নারায়ণ সাঁতরা। তিনি বলেন, “বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের সঙ্গে কোনও বিরোধ হয়নি।” যদিও সংসদেরই এক সূত্রে খবর, জেলা ক্রীড়ার আয়োজনে তাদের যুক্ত না করায় কড়া চিঠি পাঠিয়েছে বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদ। আর তাতে রয়েছে গদি প্রসঙ্গ। জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের সম্পাদক সোমনাথ দাস বলেন, “মেদিনীপুরে জেলা প্রাথমিক ক্রীড়া চলছে। এই ক্রীড়ায় বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদকে যুক্ত করা উচিত ছিল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশও রয়েছে। অথচ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ওই নির্দেশ লঙ্ঘিত হল।’’
জাম্পের ইভেন্টে যোগ দিতে মঙ্গলবার কলেজ মাঠে এসেছিল সবংয়ের বাদলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র বিষ্ণু ভোক্তা, পিংলার পশ্চিমবাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র শক্তি কুইল্যা, দাঁতনের খণ্ডরুই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র স্বপন নায়েক। বিষ্ণু, শক্তি, স্বপনদের কথায়, “শিক্ষকেরা এখানে আনলেন। তাই এসেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy