আনিসুরকে (মাঝে) নিয়ে আদালতের পথে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানের তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।
রবিবার পাঁশকুড়ায় আনিসুরের মালিকানাধীন বিএড কলেজের সামনে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হন তৃণমূল নেতা কুরবান শাহ। ওই ঘটনায় কুরবানকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে রবিবার রাতে আনিসুরকে গ্রেফতার করে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে কুরবানকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ছাড়াও অস্ত্র আইন, গাড়িতে আগুন দেওয়া-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার তমলুক মহকুমা আদালাতে তোলার পর পুলিশ আনিসুরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। আনিসুরের তরফে এদিন আদালতে জামিনের আবেদন জানানো হয়। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক আনিসুরের জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁর তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল কার্যকরী সভাপতি কুরবান শাহ ও দলের জেলা কমিটির সদস্য জাইদুল খানের নেতৃত্বে দলের কর্মীদের নিয়ে একটি মোটরসাইকেল মিছিল বেরিয়েছিল। পাঁশকুড়া পুরাতন বাজার থেকে জাতীয় সড়ক ধরে রাতুলিয়া বাজারের দিকে যাচ্ছিল মিছিল। মিছিলে থাকা একাংশ তৃণমূলের কিছু কর্মী-সমর্থক আনিসুরের বিএড কলেজে ঢুকে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেই সময় বিএড কলেজ চত্বরে বিজেপি কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন আনিসুর। অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন তাঁকে ও তাঁর লোকজনকে মারধর ও গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এরপরেই দু’দলের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে কুরবান-সহ তিন জন তৃণমূল নেতা-কর্মী আহত হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আহত কুরবানকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃণমূলের তরফে পাঁশকুড়া থানায় কুরবানকে খুনের চেষ্টা, অস্ত্র নিয়ে আক্রমণের অভিযোগ দায়ের করা হয় আনিসুর ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই আনিসুরকে গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy