Advertisement
E-Paper

‘থ্রেট’ পেয়েছিলেন কি আইআইটি খড়্গপুরের মৃত ছাত্র? পুলিশের নজরে ‘রাতের খাবার’ও

শনিবার রাতে শাওন কী খাবার খেয়েছিলেন তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই নমুনা পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিকে পাঠানো হবে। এ ছাড়াও, ওই ছাত্রের মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৯
Police investigated in IIT Kharagpur student death case

আইআইটি খড়্গপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

খড়্গপুর আইআইটির ছাত্র শাওন মালিক কি ক্যাম্পাস বা হস্টেলে কোনও ‘থ্রেট’ (হুমকি) পেয়েছিলেন? রবিবার হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরেই এই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে পুলিশকে। আত্মহত্যা না কি শাওনের মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। যদি শাওন আত্মহত্যাও করে থাকেন, তবে তার নেপথ্যে কী কারণ, তা-ও পুলিশকে ভাবাচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে শাওন কী খাবার খেয়েছিলেন তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই নমুনা পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিকে পাঠানো হবে। এ ছাড়াও, ওই ছাত্রের মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে শেষ বার তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কিন্তু তার আগে বা পরে আর কারও সঙ্গে শাওনের কোনও কথা হয়েছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি শাওনের বন্ধুবান্ধব এবং সহপাঠীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে পুলিশ। শাওন কোনও প্রকার মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কি না, তা-ও যাচাই করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

রবিবার হস্টেলের ঘর থেকে শাওনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করতে রবিবার সকালে হস্টেলে আসেন তাঁর বাবা-মা। এসে দেখে তাঁর ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। বার বার ডাকাডাকি করেও সাড়া দেননি শাওন। উত্তর দেননি ফোনেরও। তখন শাওনের বন্ধুদের ডাকেন তাঁর বাবা-মা। দরজা ভেঙে শাওনকে সিলিং থেকে ঝুলতে দেখেন সকলে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ।

পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। হাসপাতালে যান খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টর অমিত পাত্র। সেখানেই শাওনের বাবা-মার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কলেজে কোনও অসুবিধায় ছিলেন কি শাওন? অমিত বলেন, ‘‘শাওন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। সকলের সঙ্গেই সুসম্পর্ক ছিল তাঁর। কাউকে কোনও অসুবিধার কথা জানায়নি।’’ ‘থ্রেট কালচার’ প্রসঙ্গে খড়্গপুর আইআইটির ডিরেক্টর বলেন, “মেডিক্যাল কলেজের যে কালচারের কথা শুনেছি, তা এখানে শুনিনি।” পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘আমরা ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখছি।’’

IIT Kharagpur Student Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy