Advertisement
০২ মে ২০২৪
Suvendu Adhikari

শুভেন্দুর সভা ঘিরে ফের টালবাহানা! পুলিশের অনুমতি না পেয়ে আদালত থেকে ছাড়পত্র আনল বিজেপি

বুধবার ঝাড়গ্রামে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। ওই দিন শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি নিয়ে শুরু হয় চাপানউতর। বিজেপি তোপ দেগেছে রাজ্য পুলিশকে।

গোয়ালতোড়ে শুভেন্দু অধিকারীর সভা হবে বলে ফেস্টুন দিয়ে প্রচার শুরু হয়েছে। তার পরেই এল ‘ধাক্কা’!

গোয়ালতোড়ে শুভেন্দু অধিকারীর সভা হবে বলে ফেস্টুন দিয়ে প্রচার শুরু হয়েছে। তার পরেই এল ‘ধাক্কা’! —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
গোয়ালতোড় শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৩ ২০:২২
Share: Save:

বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়ে টালবাহানা অব্যাহত। এ বার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড় কলেজ মাঠের পর পিংবনিতেও সভার অনুমতি বাতিল করে পুলিশ। একটি সভার জন্য দুটি জায়গা চিহ্নিত করেছিল বিজেপি। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে— এই কারণ দেখিয়ে বিজেপি বিধায়কের সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এর পর এ নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। শেষ পর্যন্ত আদালত অনুমতি দিয়েছে।

হাই কোর্টে জানিয়েছে, সকাল ১০টা থেকে ১টার মধ্যে সভা করতে হবে। সভার সময় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

উল্লেখ্য, ৯ অগস্ট, বুধবার বিশ্ব আদিবাসী দিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকছেন ঝাড়গ্রামে। সেখানে সভাও করতে পারেন তিনি। মঙ্গলবারই ঝাড়গ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর বুধবারই গোয়ালতোড়ে শুভেন্দুর সভা করার কথা জানিয়েছিল বিজেপি। প্রথমে জেলা বিজেপির তরফে গোয়ালতোড় কলেজ মাঠে সভা করার কথা ঠিক থাকলেও পুলিশের অনুমতি না মেলায় পিংবনিতে ওই সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজেপির দাবি, ইচ্ছা করেই শুভেন্দুর সভার অনুমতি ‘প্রত্যাহার’ করেছে পুলিশ। তারা এ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এ নিয়ে বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, ‘‘শাসকদলের চাপে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় অনুমতি দেয় না পুলিশ। তাই বাধ্য হয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হই আমরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আদালতের প্রতি আস্থা ছিল। তা ছাড়া সভার জন্য প্যান্ডেল বা অন্যান্য কাজ চলছে।’’

অন্য দিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতির কথায়, ‘‘আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সম্পূর্ণ পুলিশের ব্যাখ্যার বিষয়। এর সঙ্গে শাসকদল, তৃণমূল ইত্যাদির কোনও সম্পর্ক নেই।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী সভা করুন বা না করুন, তাতে তৃণমূলের কোনও মাথাব্যথা নেই।’’

সাম্প্রতিক অতীতে শুভেন্দুর সভা ঘিরে বার বার এ রকম জটিলতা হয়েছে। এবং প্রায় প্রতি ক্ষেত্রে হাই কোর্ট থেকে অনুমতি আদায় করতে হয়েছে বিজেপিকে। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে তোপ দাগেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মঙ্গলবার এই সভা নিয়ে জটিলতা তৈরির পর জেলার রাজনৈতিক মহলে তরজা শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE