দিন পাঁচেক আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল নন্দীগ্রামের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। গত সোমবার ওই নাবালিকার বাবা হলদিয়া মহিলা থানায় মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে শুরু হয় তল্লাশি। বুধবার সকালে সুতাহাটা থানা এলাকা থেকে ওই নাবালিকা এবং এক নাবালককে উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, এ দিন ওই দু’জনেরই পরীক্ষা রয়েছে। ফলে পুলিশ তাদের আদালতের বদলে নিয়ে যায় পরীক্ষাকেন্দ্রে।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় দু’টি স্কুলে পড়ে ওই দুই পড়ুয়া। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাঙ্কে কন্যাশ্রীর টাকা তুলতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি মেয়েটি। তারপর থেকেই তাঁর খোঁজ চলছিল। ২০ ফেব্রুয়ারি নন্দীগ্রাম থানা থেকে তার বাবাকে হলদিয়া মহিলা থানায় অভিযোগ করতে পাঠানো হয়। সেখানেই তিনি মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ছেলেটির নাম সেই অভিযোগপত্রে ছিল না বলেই জানা গিয়েছে।
বুধবার সুতাহাটায় ছেলেটির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় মেয়েটিকে। নিয়ে আসা হয় ছেলেটিকেও। মহিলা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, থানায় এনে বকাঝকা করতেই জানা যায়, এ দিন মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা দু’জনের। তারপর সেখানেই তাদের স্নান, খাওয়ার ব্যবস্থা করে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তমলুকের জুভেনাইল জাস্টিস কোর্টে তোলা হয় নাবালককে। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কোলাঘাটের একটি হোমে। সেখান থেকে মাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা দেবে সে। নাবালিকাকে হলদিয়া আদালতে পেশ করিয়ে বাবা-মার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নাবালক-সহ চার জনের বিরুদ্ধে নাবালিকা অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি।
এ দিনই কোলাঘাটের ওই হোম থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যায় আরও এক নাবালক। হলদিয়ার হোড়খালির বাসিন্দা ওই নাবালকের বিরুদ্ধেও প্রতিবেশী এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। দিন কয়েক আগেই তাকে গ্রেফতার হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy