E-Paper

সিভিককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ, সরব শুভেন্দু

রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, খুুনের ধারা যুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এ দিনই খড়্গপুরের নিমপুরায় নিহতের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৫
শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী। — ফাইল চিত্র।

রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক সিভিক কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। মারধরে আহত হওয়া খড়্গপুরের বাসিন্দা তুলসী (উদয়) রাও (৩৩) নামে ওই সিভিক কর্মীকে ভর্তি করানো হয়েছিল ওড়িশার ভুবনেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শনিবার সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, খুুনের ধারা যুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এ দিনই খড়্গপুরের নিমপুরায় নিহতের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের দীপু দাসের হত্যার তুলনা টেনে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। খড়্গপুর টাউন থানায় বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি আগামী ১ জানুয়ারি ২০ হাজার হিন্দু নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সন্ধ্যায় এলাকায় মিছিল করেন শুভেন্দু। স্লোগান ওঠে ‘জাস্টিস ফর উদয়’। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, “যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি আমাদেরই পরিবারের সদস্য। এই ঘটনা আমাদের কাছেও বেদনাদায়ক। দু’জনকে আগেই গ্রেফতার করেছিলাম। ওই মামলায় খুনের ধারা সংযুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করেছি। বাকি চার অভিযুক্তকেও দ্রুত গ্রেফতার করব।”

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, উদয় গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে দেবেন্দ্রকুমার দোলুই এবং পি প্রকাশ নামে দুই বন্ধুকে নিয়ে একটি গাড়িতে করে খড়্গপুর স্টেশনে গিয়েছিলেন এক পরিচিতের সঙ্গে দেখা করতে। মালগুদামে একটি দোকানে চা খেতে ঢোকেন উদয়-সহ তিন জন। সেই সময়েই তাঁদের ধাক্কা মেরে এক যুবক দোকানে ঢুকতেই শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, তার পরে শুরু হয় মারধর। ঘটনার অভিযোগকারী দেবেন্দ্রকুমার বলেন, “উদয় পালাতে গেলে ১৫-২০ জন মিলে প্রকাশ ও আমাকে মারতে থাকে। তখন উদয় ফিরে এলে ওরা পাথর দিয়ে ওর মাথায় মারে। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মোটরবাইকে উদয়কে তুলে নিয়ে যায় গোলবাজার মাছবাজারে। সেখানেও বেধড়ক পেটায়।”

১৬ তারিখ ভোরে গুরুতর জখম অবস্থায় খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল উদয়কে। পরে নেওয়া হয় ভুবনেশ্বরের বেসরকারি হাসপাতালে। ১৬ তারিখই গ্রেফতার হয় শেখ সারফুদ্দিন ও রাহুল শ্রীবাস্তব নামে দুই অভিযুক্ত। মহম্মদ জাভেদ-সহ চার জন পলাতক, দাবি পুলিশের। ঘটনার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন উদয়ের মা রোহিণী ও বাবা রমেশ রাও। পঞ্জাব থেকে এসেছেন উদয়ের দিদি ও সেনাবাহিনীতে কর্মরত জামাইবাবু।

শুভেন্দু দাবি করেন, “এখানকার তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি ফিদা হুসেন ও তাঁর বাহিনী এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটিয়েছে। জাভেদ-সহ মূল অভিযুক্তেরা কেউ গ্রেফতার হয়নি। মানুষ ক্ষুব্ধ। পুরো বাহিনী গ্রেফতার না হলে সংগ্রাম হবে।” পাল্টা খড়্গপুর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি ফিদা হুসেন বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। শেখ সারফুদ্দিন আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী। বছর খানেক ধরে দলের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Suvendu Adhikari BJP Kharagpur Civic volunteer

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy