Advertisement
E-Paper

পয়লার প্রচারে প্রভাতফেরি থেকে মিষ্টিমুখ

কেউ প্রভাতফেরিতে জোড় হাতে হাঁটলেন তো কেউ আবার হাসিমুখে পড়শিদের মিষ্টিমুখ করালেন। শুভেচ্ছা জানাতে কার্ড ও গোলাপ ফুল বিলিও করলেন কেউ কেউ। পয়লা বৈশাখের ভোট প্রচারে পয়লা হতে নানা পন্থা নিলেন খড়্গপুর পুরভোটের প্রার্থীরা। এ দিন সকাল থেকে বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেই কাটিয়েছেন বিদায়ী পুরপ্রধান ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী রবিশঙ্কর পাণ্ডে। বেলা বাড়তে একফাঁক ঘুরে গিয়েছেন ঝাপেটাপুরে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ০০:০৫
প্রচারে বেরিয়ে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী শ্বেতা কুণ্ডু।

প্রচারে বেরিয়ে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী শ্বেতা কুণ্ডু।

কেউ প্রভাতফেরিতে জোড় হাতে হাঁটলেন তো কেউ আবার হাসিমুখে পড়শিদের মিষ্টিমুখ করালেন। শুভেচ্ছা জানাতে কার্ড ও গোলাপ ফুল বিলিও করলেন কেউ কেউ। পয়লা বৈশাখের ভোট প্রচারে পয়লা হতে নানা পন্থা নিলেন খড়্গপুর পুরভোটের প্রার্থীরা।

এ দিন সকাল থেকে বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেই কাটিয়েছেন বিদায়ী পুরপ্রধান ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী রবিশঙ্কর পাণ্ডে। বেলা বাড়তে একফাঁক ঘুরে গিয়েছেন ঝাপেটাপুরে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে। সকালে প্রচারে না ঘুরলেও বিকেলে তলঝুলি এলাকায় প্রচার সেরেছেন তিনি। তলঝুলির মতো বাঙালি এলাকায় তাঁকে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেও দেখা গিয়েছে। রবিশঙ্করবাবুর কথায়, ‘‘বাংলা নববর্ষে আমি প্রতি বছরই সকালে মন্দিরে যাই। তবে বিকেলে আমার ওয়ার্ডের একমাত্র বাঙালি এলাকা তলঝুলিতে প্রচার সেরেছি। প্রায় সকলকেই শুভেচ্ছা দিয়েছি।’’

এ দিন সকাল থেকেই তালবাগিচা বাজারে গিয়ে খোশমেজাজে গল্প করতে দেখা গিয়েছে প্রাক্তন পুরপ্রধান ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী জহরলাল পালকে। বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গেও কিছুক্ষণ কাটিয়েছেন তিনি। জহরবাবু বলেন, ‘‘প্রতিবছরের মতোই সকালে এলাকার পরিচিতদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। ভোট বলে আলাদা কিছু করিনি। আর বিকেলে প্রচারের সঙ্গেই শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছে।’’ শহর তৃণমূল সভাপতি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী দেবাশিস চৌধুরী এ দিন সকাল থেকেই বাড়ি-বাড়ি প্রচার সেরেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রচারের ফাঁকেই নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছি।’’ প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন সিপিএমের জোনাল সম্পাদক ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাম প্রার্থী অনিতবরণ মণ্ডল। ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকে বিকেল টানা প্রচার করেছেন তিনি। অনিতবাবুর কথায়, ‘‘অন্য বার পরিবারের সঙ্গে নববর্ষ পালন করি। বেশি সময় বাড়িতে কাটাই। এ বার সেই সুযোগ পেলাম না।’’

নববর্ষকে প্রচারের কাজে লাগানোর চেষ্টা বেশি করেছেন নতুন প্রার্থীরা। সকালে শহরের ভবানীপুরের আর জি ক্লাব থেকে বের হওয়া প্রভাতফেরিতে পা মেলান ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু সাহা। গানের সুরে, ঢাকের তালে প্রভাতফেরি ঘুরেছে মুমতাজ পুকুর থেকে মিলন সঙ্ঘ পর্যন্ত। হাত জোড় করে এলাকার সুস্থ সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রেখে উন্নয়নের জন্য মানুষকে তাঁর পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শান্তনুবাবু। পরে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী শান্তনুর কথায়, ‘‘শহরে এখন সুস্থ সংস্কৃতির অভাব। তাই সুস্থ সংস্কৃতি ফেরানোর আবেদন নিয়ে প্রচার করার জন্য বাংলা বছরের প্রথম দিনটি আদর্শ।’’

একই ভাবনায় এ দিন ভোট প্রচার করেছেন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শ্বেতা কুণ্ডু অধিকারী। পড়শিদের বাড়িতে গিয়ে মিষ্টি মুখ করে গুরুজনদের পা-ছুঁয়ে ভোট দিয়ে আশীর্বাদ চেয়েছেন পাড়ার বৌমা শ্বেতা। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘অন্য বছরের তুলনায় আজকে একটু অন্যরকম কাটল। আগের নববর্ষেও ঘরের কাজে নববর্ষ কেটেছিল। এ বছর সকলের সঙ্গে ভোট প্রচারের সঙ্গেই আনন্দে দিনটি কাটালাম।’’

নিজে অবাঙালি হলেও এলাকার বাঙালিদের মন জয় করতে কার্ড-গোলাপ নিয়ে সারাদিন এলাকা ঘুরেছেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী আলি আহমেদ। সকালে ইন্দা মোড় থেকে বিদ্যাসাগরপুর পর্যন্ত মিছিলও করেছেন তিনি। আলি আহমেদ বলেন, ‘‘আমি চাই এলাকায় সম্প্রীতি বজায় থাকুক। তাই বাঙালিদের নববর্ষে তাঁদের শুভেচ্ছা দিয়েছি কার্ড-ফুল দিয়ে। প্রচার তো রোজ চলছে। কিন্তু বাঙালীদের কাছে থাকার এমন সুযোগ তো সবদিন আসে না।’’

—নিজস্ব চিত্র।

Kharagpur Election campaign Trinamool BJP Shweta kundu Ali Ahamed Congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy