E-Paper

দু’মাসেও হল না নতুন সেতু

স্থানীয় সূত্রের খবর, কপালমোচন ঘাটের কাছে শঙ্করআড়া খালের সঙ্গে যুক্ত একটি নিকাশি খালের উপর পাকা সেতু ছিল অনেক দিন ধরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩ ০৮:২৬
ভাঙা সেতুর পাশে তৈরি হয়নি নয়া সেতু। নিজস্ব চিত্র

ভাঙা সেতুর পাশে তৈরি হয়নি নয়া সেতু। নিজস্ব চিত্র

নতুন সেতু তৈরির সময় পুরনো সেতু ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল শ্রমিকের। ওই ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে দু’মাস। কিন্তু তমলুকের শঙ্করআড়া এলাকায় কপালমোচন ঘাটের কাছে খালের উপর পাকা সেতু এখনও তৈরি হয়নি। এর ফলে শহরের উত্তরচড়া শঙ্করআড়া এবং দক্ষিণচড়া শঙ্করআড়া এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এলাকাবাসী ওই জায়গায় দ্রুত পাকা সেতু নির্মাণের কাজ করার দাবি জানিয়েছেন। তাতে পুরসভার সাফাই, পাকা সেতু নির্মাণের জন্য সেচ দফতর ও পুর দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, কপালমোচন ঘাটের কাছে শঙ্করআড়া খালের সঙ্গে যুক্ত একটি নিকাশি খালের উপর পাকা সেতু ছিল অনেক দিন ধরে। ওই সেতু দিয়ে শহরের ১৪ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের এলাকার বাসিন্দারা প্রতিদিন শহরের বড়বাজার এবং অন্য স্থানে যাতায়াত করতেন। দীর্ঘদিনের ওই পুরনো সেতু ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়ায় পুরসভার উদ্যোগে ওই একই জায়গায় নতুন সেতু তৈরিতে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পে প্রায় ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ঠিকাদার নিয়োগ করে গত মে মাসে কাজ শুরু হয়। ভগ্নপ্রায় পুরনো সেতু ভাঙার সময়ই গত ১৬ মে দুর্ঘটনায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ঘটনায় পুরসভা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।

ওই দুর্ঘটনার পরে প্রায় ২ মাস পার হলেও নতুন সেতু নির্মাণের কাজ এখনও শুরু হয়নি। স্থানীয় অপূর্ব মিশ্র বলেন, ‘‘প্রতিদিন ওই সেতু পার হয়ে বড়বাজার এবং বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু সেতু ভেঙে যাওয়ায় ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। আর কিছুদিন পরে দুর্গাপুজো। কয়েক মাস পরে হবে বারুণী মেলা। কিন্তু নতুন সেতু নির্মাণের কাজ এখনও শুরু হয়নি। কবে সেতু নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হবে জানতে পারছি না। দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণের জন্য পুরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’’

সেতু ভাঙা থাকায় সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন তমলুকের পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়। তিনি বলেন, ‘‘নতুন সেতু নির্মাণের জন্য আমরা সেচ দফতর ও মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরকে চিঠি দিয়েছি। এজন্য আরও অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Tamluk

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy