Advertisement
E-Paper

গেরুয়া রঙে রেলশহরে তৃণমূলের ‘গ্যারান্টার’

নিজেকে 'গ্যারান্টার’ বলে ভোট প্রার্থনা করেছিলেন শুভেন্দু। সেই ‘গ্যারান্টার’ এর দলবদলে শহরের উন্নয়নে প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও আছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৫২
শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দিয়ে গেরুয়া হোর্ডিং। নিজস্ব চিত্র।

শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দিয়ে গেরুয়া হোর্ডিং। নিজস্ব চিত্র।

গত বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে এসে রেলশহরে তৃণমূলের উন্নয়নের ‘গ্যারান্টার’ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সব জল্পনা শেষে সেই তিনি এখন দল ছেড়েছেন। আজ, শনিবার মেদিনীপুর শহরে অমিত শাহের সভায় তাঁর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে উত্তাল বাংলার রাজনীতি। সেই সভার ঠিক একদিন আগে রেলশহর ছেয়ে গেল শুভেন্দুর ছবি দেওয়া গেরুয়া রংয়ের হোর্ডিংয়ে। সেখানে লেখা ‘মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী জিন্দাবাদ’। খড়্গপুর শহরের ইন্দা, গোলবাজার, ভাণ্ডারিচক, আইআইটি উড়ালপুলে ওই হোর্ডিং দেখা গিয়েছে।

বিজেপির দাবি, দাদার অনুগামীরাই এমন হোর্ডিং দিয়েছেন। দলের রাজ্য নেতা তথা রাঢ়বঙ্গের মুখপাত্র তুষার মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘খড়্গপুর শহরে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা ওই হোর্ডিং দিয়েছেন। রাজ্যের সর্বত্রই তৃণমূলের অপশাসন থেকে মুক্তি পেতে বহু তৃণমূল নেতারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। শুভেন্দু বিজেপিতে এলে উনি গ্যারান্টার হিসাবে যে দায়িত্ব নিয়েছিলেন মানুষের কাজ করে সেই দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিশ্বাস করি।’’ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দাদার অনুগামীদের অন্যতম মুখ রমাপ্রসাদ গিরি অবশ্য বিষয়টি জানেন না বলেই দাবি করেছেন।

গত বিধানসভা উপ-নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারের হয়ে প্রচারে এসে বারবার নিজেকে 'গ্যারান্টার’ বলে ভোট প্রার্থনা করেছিলেন শুভেন্দু। সেই ‘গ্যারান্টার’ এর দলবদলে শহরের উন্নয়নে প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও আছে। উপনির্বাচনে জয়ী হওয়া তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ সরকার অবশ্য বলছেন, ‘‘শহরে উন্নয়ন থেমে থাকবে না। আমি জেতার পরে স্বয়ং দিদি এসে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেই মতো উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। কোনও হোর্ডিং দেখে ভোট আসে না। মানুষ যাঁদের পাশে থাকে তাঁরা ভোট পায়।’’

হোর্ডিং দেখার পরে তৃণমূলের অন্দরেও শুরু হয়েছে জোর চর্চা। শহরের রাজগ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী সুখময় প্রধানের দাবি, ‘‘এখানে গ্যারান্টার কোনও ফ্যাক্টর নয়। দিদি শহরের উন্নয়ন করছেন, করবেন। যিনি গ্যারান্টার হয়ে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তাঁকে অন্তত খড়্গপুরের মানুষ আর বিশ্বাস করবেন না।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy