সর্ডিহা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। সোমবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা বিভাগীয় তদন্তে করতে ওই পঞ্চায়েত অফিসে যান। তবে এ দিন পঞ্চায়েতের সচিব তথা নির্বাহী সহায়ক মধুসূদন দাস না-আসায় পঞ্চায়েতের আলমারি খোলা যায়নি। চাবি ছিল তাঁর কাছে। ফলে, পঞ্চায়েতের টাকা খরচ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংগ্রহ করা যায়নি। তবে ব্যাঙ্ক থেকে সর্ডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতেতের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের ‘স্টেটমেন্ট’ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার মধুসূদনবাবু ‘ই-মেল’ মারফত বিডিও-র কাছে শারীরিক অসুস্থতার জন্য ছুটি চেয়েছেন। তবে তাঁর ছুটি মঞ্জর করা হয়নি। বরং অবিলম্বে পঞ্চায়েত অফিসে হাজির হয়ে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। এ দিন সর্ডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবযানী মাহাতো অবশ্য হাজির ছিলেন। পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরে তদন্ত চলাকালীন বাইরে বিক্ষোভ দেখান কিছু বাসিন্দা। বিজেপির কিছু কর্মীও সেখানে হাজির ছিলেন। বিজেপি নেতা খগেন্দ্রনাথ মাহাতোর অভিযোগ, “কেবল প্রধান ও সচিব নন, শাসকদলের আরও অনেক রাঘব-বোয়াল এই কাণ্ডে জড়িত।”
ঝাড়গ্রামের জয়েন্ট বিডিও চঞ্চলকুমার মণ্ডল বলেন, “সচিব মধুসূদনবাবু পঞ্চায়েত অফিসে আসছেন না। পুলিশ মারফত তাঁর বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা না-করলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।” প্রশাসন সূত্রের খবর, মধুসূদনবাবু হাজির না হলে, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আলমারির ভেঙে নথিপত্র সংগ্রহ করা হবে।
সর্ডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের তহবিল থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে প্রধান ও সচিবের বিরুদ্ধে। যদিও প্রধান দেবযানীদেবীর দাবি, তাঁকে ভুল বুঝিয়ে চেক-এ সই করিয়েছিলেন মধুসূদনবাবু। দেবযানীদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy