কাঁথির বাজারে লরি থেকে নামছে ছোট ইলিশ।
প্রশাসনের কড়া নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হলদিয়া, মহিষাদল এবং কাঁথির বাজারে রমরমা খোকা ইলিশের। অভিযোগ, কাকদ্বীপে পুলিশের কড়াকড়ির জেরে সেখানের মৎস্যজীবীরা এখন পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলে ছোট ইলিশ নিয়ে আসছেন।
বুধবার হলদিয়া এবং মহিষাদলের বিভিন্ন বাজারেও কয়েক কুইন্ট্যাল ইলিশ এসেছে। অধিকাংশই ছোট ইলিশ। স্থানীয় সূত্রের খবর, ২৩ সেন্টিমিটারের কম বা ১৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এদিন হলদি নদীর তীরে আড়তে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকারও কমে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক আড়তদার বলেন, ‘‘আমাদের এখানে ইলিশের ডাক হয়েছে ৯০ টাকা কিলোগ্রাম করে। যা এই মরসুমের সর্বনিম্ন।’’ হলদিয়ার আর এক আড়তদার বাবুলাল সিংহ বলেন, ‘‘এ দিন কাকদ্বীপ থেকে দু’টি ট্রলারে কয়েক টন ছোট ইলিশ এসেছিল। আমরা আড়তে কিনিনি।’’
খোলা বাজারেই ওই ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কিলোগ্রাম দরে। একটু বড় আকারের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকায়। ৫০০ গ্রামের কম ওজনের ইলিশের দর ছিল ৩০০ টাকা। অধিকাংশই ছোট ইলিশ। ব্যবসায়ীদের যুক্তি, ‘‘ছোট মাছ ধরতে বাধা নেই, তা হলে বিক্রিতে বাধা কেন?’’ মাছ বিক্রেতা সুবিমল মণ্ডলের কথায়, ‘‘ছোট ইলিশ বিক্রি করা অপরাধ, জানি। কিন্তু এতো আমদানি হলে কী করব?’’
হলদিয়ার মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন সাহু বলেন, ‘‘আমরা জেলেদের মধ্যে প্রচার চালিয়েছি। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এই ছোট ইলিশ বাইরে থেকে আসছে।’’ কিন্তু ১৫ সেপ্টম্বর থেকে আগামী ২৪ অক্টোবর নদীতে বা সমুদ্রে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও এখন ইলিশ ধরার নৌকা নদীতে যায় কী করে? উত্তর মেলেনি আধিকারিকদের কাছ থেকে।
অন্যদিকে, এ দিনই তিনটি লরিতে ছোট ইলিশ এসেছে কাঁথি মহকুমার সুপার মার্কেটে। মৎস্য ব্যবসায়ীদের দাবি, শৌলা মৎস্য বন্দর থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোগ্রাম ছোট ইলিশ এসেছে। গড় ওজন ১০০ -৩০০ গ্রাম।
কাঁথি সুপার মার্কেটের মৎস্য ব্যবসায়ী দিলীপ বায়েন বলেন, ‘‘ট্রলার মালিকেরা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সমুদ্রে জাল ফেলছেন। ছোট ইলিশ এখানে এলে আমরা কি ফেলে দেব।’’
দিন কয়েক আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ থেকে কাকদ্বীপ বাজারে প্রায় ১২০০ টন ছোট ইলিশ আনার পথে মৎস্যদফতর আটক করে। তারপর তা মাটিতে পুতে দেওয়া হয়েছিল। কাঁথির সহ-মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক ও ব্রাকিস) সুরজিৎ বাগ বলেন, “খবর পেয়েছি, কাকদ্বীপ ও ফ্রেজারগঞ্জের মৎস্যজীবীরা এখন পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলে ছোট ইলিশ নিয়ে আসছেন। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর দিঘা-মোহনায় সমস্ত আড়তদারদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy