লালগড়ের একটি দোকানে বুটের লাড্ডু। —নিজস্ব চিত্র।
বিজয়া দশমীতে ঘরে আসা অতিথির প্লেটে থাকত মিষ্টান্নটি। দামে কিছুটা শস্তা। ফলে চাহিদাও ছিল ব্যাপক। লালগড় এলাকার ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল বুটের লাড্ডু। প্রাচীন অনেক মিষ্টি কালের নিয়মে পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। ঝাড়গ্রামের লালগড়ের বুটের লাড্ডু যেন সেই নিয়মের ফাঁদে পড়ে গিয়েছে।
মূল উপকরণ ছোলার বেসন। ছোলা বা বুটের তৈরি বলে তা বুটের লাড্ডু। ছোলাকে কেউ কেউ আবার চানা বলেন। তাই কোনও কোনও এলাকায় ‘চানার লাড়ু' নামেও পরিচিত বুটের লাড্ডু। পাক প্রণালী হল, প্রথমে সাদা তেলে ভেজে নেওয়া হয় বেসনের ঝুরি। তার পর ঘন চিনির বা পাতলা গুড়ের রসে সেই ঝুরি মিশিয়ে পাক তৈরি করে লাড্ডু পাকানো হয়। গাওয়া ঘিয়ে ভাজা নাড়ু অবশ্য রূপে ও স্বাদে অতুলনীয়। তবে পড়তা হয় না বলে এখন আর গাওয়া ঘি ব্যবহার করা হয় না। জনশ্রুতি, এক সময় বেলুড় মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের জন্য বুটের লাড্ডু তৈরির বরাত পেতেন লালগড়ের হালুইকরেরা। এখানকার মিষ্টি সংস্কৃতি বেশ পুরনো। লক্ষ্মীপুজোয় নৈবেদ্যেও বুটের লাড্ডু দেওয়ার চল ছিল। কিন্তু ক্রমশ এই মিষ্টির চাহিদা কমছে নতুন প্রজন্মের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy