Advertisement
E-Paper

বৃত্তিতেও হস্তক্ষেপ ছাত্র সংসদের!

এক সময় যাঁরা ছাত্র সংসদে ছিলেন, তাঁরা কেউই আর এখন কলেজের ছাত্র নন। বিরোধীদের দাবি, ছাত্র সংসদে ডেকে ছাত্রছাত্রীদের থেকে টাকা আদায় করে একদল ‘বহিরাগত’।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪৫
কেশপুর কলেজ। ফাইল ছাত্রী।

কেশপুর কলেজ। ফাইল ছাত্রী।

বিতর্ক কেশপুর কলেজে। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে কলেজে সংখ্যালঘু বৃত্তির জন্য ফর্ম ফিলাপ শুরু হবে। এ জন্য ছাত্রছাত্রীদের ছাত্র সংসদের অফিসে এসে যোগাযোগের নিদান দিয়েছেন সংসদের নেতৃত্ব! কিন্তু কলেজে তো এখন কোনও ছাত্র সংসদই নেই! দু’বছর আগেই ফুরিয়েছে সংসদে‌র। তা হলে? কলেজ সূত্রের খবর, যে সব নেতৃত্ব এই নিদান দিয়েছেন, তাঁরা এক সময় ছাত্র সংসদে ছিলেন।

কেশপুর কলেজের অধ্যক্ষ দীপককুমার ভুঁইয়া বলেন, “কলেজে ছাত্র সংসদই নেই। কে বা কারা ও সব বলেছে দেখছি। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” একই আশ্বাস দিয়েছেন কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা। তিনি বলেন, “ফর্ম ফিলাপের জন্য ছাত্রছাত্রীরা সংসদে যাবে কেন? এটা তো কলেজের ব্যাপার। ছাত্রছাত্রীরা কলেজেই যোগাযোগ করবে। পুরনো সংসদের কেউ এমন কিছু বলে থাকলে অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নিন। আমার সমর্থন থাকবে।”

সংখ্যালঘু বৃত্তির জন্য ইতিমধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। নোটিস বোর্ডে দেওয়া সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফর্ম ফিলাপ চলবে। কলেজ ক্যান্টিনের পাশের একটি ঘরে ফর্ম ফিলাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাল্টা এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ছাত্র সংসদের নেতৃত্ব। অর্থাৎ তৃণমূলের স্থানীয় ছাত্রনেতারা। কলেজের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শেখ সানাউল্লা নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ছাত্র সংসদ অফিসের পাশের ঘরে সংখ্যালঘু বৃত্তির ফর্ম ফিলাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকল ছাত্রছাত্রীকে ছাত্র সংসদ অফিসে এসে যোগাযোগ করার কথাও বলা হয়েছে ওই ফেসবুক পোস্টে।

এক সময় যাঁরা ছাত্র সংসদে ছিলেন, তাঁরা কেউই আর এখন কলেজের ছাত্র নন। বিরোধীদের দাবি, ছাত্র সংসদে ডেকে ছাত্রছাত্রীদের থেকে টাকা আদায় করে একদল ‘বহিরাগত’। এমন পোস্ট সেই উদ্দেশ্যেই বলে দাবি বিরোধীদের। কলেজ সূত্রের খবর, এখানে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। এরমধ্যে প্রায় আড়াই হাজার পড়ুয়াই সংখ্যালঘু। ছাত্র সংসদেরই প্রাক্তন এক সদস্য মনে করিয়ে দিচ্ছেন, “যদি একদল বহিরাগত পড়ুয়াপিছু ১০০ টাকাও নেয়, তাহলে আড়াই লক্ষ টাকা ওঠে। টাকার অঙ্কটা কম নয়।” শেখ সানাউল্লার অবশ্য সাফাই, “ফর্ম ফিলাপের ক্ষেত্রে কারও কোনও বোঝার অসুবিধে থাকলে আমরা সংসদে যোগাযোগ করতে বলেছি। অন্য কিছু নয়! এখানে টাকাপয়সার কোনও ব্যাপার নেই।” কলেজের পরিচালন সমিতির এক সদস্য বলেন, “আমরা ছাত্রছাত্রীদের বলছি, অন্যায় সহ্য করবে না। রুখে দাঁড়াও। আমরা পাশে আছি। টাকা নিয়ে ফর্ম ফিলাপ করিয়ে দেওয়ার কোনও অভিযোগ উঠলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy