ব্যবধান মাত্র আট মাসের। ফের শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারে বসে পড়লেন তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া নেতা দিবাকর জানা। দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে শুক্রবার পদে ফিরেই ঘোষণা করলেন, ‘‘মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশ মতোই চলবে পঞ্চায়েত সমিতি।’’ দিবাকরের এমন কাজে দলের শৃঙ্খলা ভাঙায় ক্ষুব্ধ তৃণমূলের একাংশ।
চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক আধিকারিককে মারধরের ঘটনায় নাম জড়ায় শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানার। ৯ ফেব্রুয়ারি কোলাঘাট থানায় আত্মসমর্পণ করে গ্রেফতার হন দিবাকর। তাঁকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের নির্দেশে সহ সভাপতি শোভা সাউ ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব নেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি জামিনে ছাড়া পান দিবাকর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক দিন ধরেই গুঞ্জন উঠেছিল দিবাকর ফের সভাপতির পদে ফেরার জন্য জেলা প্রশাসন ও দলের কাছে দরবার করছেন। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ শতাধিক অনুগামী নিয়ে মিছিল করে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে গিয়ে সভাপতির চেয়ারে বসে পড়েন দিবাকর। শোভা সাউয়ের নেমপ্লেটের ওপর দিবাকরের নাম ও পদের কাগজ লাগিয়ে দেন তাঁর অনুগামীরা। চেয়ারে ফিরে দিবাকর বলেন, ‘‘কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে একটি গণ্ডগোলকে কেন্দ্র করে আমি ১৩ দিন অফিস আসিনি। পরে জানলাম সহ-সভাপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ব্লকের সমস্ত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, জেলা পরিষদ সদস্য ও নেতারা মিটিং করে আমাকে সভাপতি পদে বসতে বলেছেন। জেলাশাসক এবং মহকুমাশাসককেও লিখিতভাবে জানিয়েছি। মহকুমাশাসক অনুমতি দিয়েছেন।’’ এ ব্যাপারে মহকুমাশাসকের বক্তব্য জানতে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থেকে ফের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে ফেরার ক্ষেত্রে বাধা নেই। এমনকী তিনি কোনও মামলায় অভিযুক্ত হলেও।’’