তাণ্ডব: বাজকুল রেঞ্জের গাংড়াচরে ঝড়ে উপড়ে পড়েছে বহু গাছ। নিজস্ব চিত্র
ঝড়ের পরে দ্বিতীয় দিনও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেলেন পরিবহণ তথা সেচ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার রামনগর-১ ব্লকের শঙ্করপুর ও সংলগ্ন সমুদ্র-বাঁধ এলাকায় যান তিনি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শঙ্করপুর থেকে জলধা পর্যন্ত সমুদ্র বাঁধের অবস্থা অত্যন্ত বিপজ্জনক। গত বাম সরকারের আমল থেকে স্থায়ী ভাবে সেখানে বাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও আজও তা পূরণ হয়নি বলে দাবি। বুলবুলের পরে ওই এলাকার বাঁধ কী অবস্থায় রয়েছে, এ দিন এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নেন সেচ মন্ত্রী। হেঁটে ঘোরেন শঙ্করপুর থেকে জলধা পর্যন্ত এলাকা।
শুভেন্দু এলাকায় পৌঁছতেই বাঁধ নিয়ে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানান বাসিন্দারা। এক বৃদ্ধ মন্ত্রীর হাত ধরে বলেন, ‘‘কতজন এসে দেখে গেলেন। কিন্তু সমুদ্র বাঁধ তৈরির বিষয়টি সেই একই জায়গাতেই রয়ে গিয়েছে। স্থায়ী ভাবে বাঁধ দেওয়া হলে অনেকে রক্ষে পাবেন।’’ জনসমক্ষে বাঁধ নিয়ে এমন অনিশ্চয়তার কথা শোনার পরে শুভেন্দু আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘‘সব কিছু বন্দোবস্ত করেই এখানে এসেছি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, শঙ্করপুর থেকে জলধা পর্যন্ত স্থায়ীভাবে সমুদ্র বাঁধ নির্মাণের কাজ চলতি বছরই শুরু করতে চায় সেচ দফতর। কারণ, প্রতি বছর এই এলাকায় পাথর আর শাল বল্লা দিয়ে তৈরি অস্থায়ী বাঁধ অতিক্রম করে সমুদ্রের জল ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। কীভাবে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে, সেই সংক্রান্ত নকশা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দফতরের আধিকারিক ও একাধিক ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকে দেখে নেন শুভেন্দু।
এ দিন সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস, এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার স্বপন পণ্ডিত-সহ ব্লক আধিকারিকেরা।
অন্যদিকে, এগরায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। এগরা ১ ব্লকের ছত্রি গ্রাম পঞ্চায়েতে আইলান, বড় নিহারী, সান নিহারী, উষ্মা, হোসেনপুর, কুদি-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে একাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। এ দিন ওই এলাকায় যান এগরা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মঞ্জু মাইতি। ছত্রী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপল এবং অন্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy