থানা থেকে বেরিয়ে তদন্তে সহযোগিতার বার্তা সৌমেন্দুর। — নিজস্ব চিত্র।
শ্মশান দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুকে ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। কাঁথি থানা থেকে বেরিয়ে তাঁর অভিযোগ, আদালত ২ ঘণ্টা জেরা করার কথা বললেও, পুলিশ তাঁকে ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রেখেছিল। যদিও ‘‘যত বার ডাকবে, তত বার আসব’’, বলেছেন তিনি।
কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌমেন্দুকে শ্মশান দুর্নীতি মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেই মতো শুক্রবার দুপুরে কাঁথি থানায় পৌঁছন শুভেন্দুর ভাই। সৌমেন্দুর আইনজীবী জানান, শুক্রবার সকাল ১১টায় সৌমেন্দুকে ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে ঘণ্টা দুয়েক পর দুপুর ১টা নাগাদ থানায় হাজিরা দেন সৌমেন্দু। বেরিয়েছেন ঘণ্টা তিনেক থানায় থাকার পর। আর বেরিয়েই সৌমেন্দু বলেন, ‘‘আমাকে দু’ঘণ্টার বেশি জেরা করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। অথচ আজ (শুক্রবার) তিন ঘণ্টা থানায় রাখা হল। তদন্তে কি হচ্ছে না হচ্ছে তা তদন্তকারীরা জানাবেন। আমার তদন্তে সহযোগিতা করার কথা, আমি তাই করেছি। থানায় ঢোকার সময় আমি একটি বই নিয়ে গিয়েছিলাম। কেউ আপত্তি করেননি। আগামী সোমবার আবার যাওয়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে আমাকে। যত বার ডাকা হবে, তত বারই আসব। আমার কোনও অসুবিধে নেই।’’
২০২১-এর বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। কাঁথির শান্তিকুঞ্জের বাকি বাসিন্দারা অবশ্য প্রকাশ্যে দলবদল করেননি। কিন্তু প্রত্যাশিত ভাবেই তৃণমূলেও তাঁদের অবস্থান ক্রমশ দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়। শুভেন্দু তৃণমূলে থাকাকালীন সৌমেন্দু ছিলেন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান। মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে করা হয় পুরসভার প্রশাসক। কিন্তু শুভেন্দু দল বদলাতেই প্রশাসক পদও যায় সৌমেন্দুর। তার পরেই শুরু হয় শ্মশান-মামলা। অভিযোগ, শ্মশানের জমির চরিত্র বদলে মার্কেট কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হয় সৌমেন্দুর অঙ্গুলিহেলনেই। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সৌমেন্দুকে অতীতেও জেরা করেছে পুলিশ। শুক্রবারও একই মামলায় পুলিশের জেরার মুখে পড়লেন শুভেন্দুর ভাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy