Advertisement
E-Paper

ফের হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা ইটভাটা শ্রমিকদের

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট জানিয়েছে, ওই মালিককে জানিয়ে দেওয়া হয় কর্মীদের ভাটায় থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২০ ০২:১৫
ভাটা শ্রমিকেরা। নিজস্ব চিত্র

ভাটা শ্রমিকেরা। নিজস্ব চিত্র

সম্প্রতি জেলা প্রশাসন ইটভাটা মালিকদের নির্দেশ দিয়েছিল, কর্মীদের নামের তালিকা জমা দিয়ে বাসের ব্যবস্থা করে বাড়ি পাঠাতে হবে। কিন্তু তার পরেও পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন প্রান্তে ভাটাকর্মীদের হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৮টা নাগাদ পাণ্ডবেশ্বরের বহুলা পঞ্চায়েতের পরাশকোলের একটি ভাটা থেকে ২০ জন শিশু-সহ ৮০ জন কর্মী হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সন্দীপ সরকার জানান, ভাটা থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে তাঁরা শিশুদের কোলে নিয়ে এক সঙ্গে প্রচুর মানুষকে হাঁটতে দেখেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, সবাই পরাশকোলের একটি ভাটার কর্মী। হেঁটে বিহারের ঝাঝায় বাড়ি ফিরছেন। বিষয়টি পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও বহুলা পঞ্চায়েতের প্রধান বীরবাহাদুর সিংহকে জানানো হয়।

বীরবাহাদুরবাবু জানান, তিনি স্থানীয়দের সাহায্যে সকলকে চা, বিস্কুট খাওয়ান। এর পরে, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ভাটা মালিক সঞ্জয় বার্নওয়ালকে ডেকে পাঠানো হয়। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট জানিয়েছে, ওই মালিককে জানিয়ে দেওয়া হয় কর্মীদের ভাটায় থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে, সকলকে বাসে বা গাড়িতে করে বাড়ি পাঠাতে হবে।

এ দিকে, বাড়ি ফিরতে চাওয়া ভাটার কর্মী ধর্মেন্দ্র মাঝি, রেনু দেবীদের অভিযোগ, ‘‘প্রায় ২০ দিন কাজ নেই। মিলছে না মজুরিও। মালিক বাস, গাড়ি ব্যবস্থা না করায় হেঁটেই বাড়ি ফিরতে চাইছি।’’ ওই ভাটা শ্রমিকেরা জানান, হাজার-হাজার পরিযায়ী কর্মী পাঁচ-সাতশো কিলোমিটার দূরত্ব হাঁটছেন বলে জানতে পেরেছেন। তাঁদের বাড়ি, বড় জোর ২৫০ কিলোমিটার দূরে। তাই হেঁটে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

যদিও ভাটার মালিক সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, ‘‘কর্মীদের বাড়ি ফেরার জন্য সাত দিন আগে প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি চেয়েছি। তা না পাওয়ায় ওঁদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করতে পারিনি। শ্রমিকেরা আমাকে না জানিয়েই ফেরার চেষ্টা করছিলেন।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিডিও (পাণ্ডবেশ্বর) কৌশিক সমাদ্দার বলেন, ‘‘ওই ভাটাটির মালিক ঠিক বলছেন না। গাড়ি ঠিক করে বাড়ি ফেরানোর অনুমতি চাইলে, সঙ্গে সঙ্গে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।’’

এ দিকে, জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই জেলা থেকে আট হাজার ভাটাকর্মীকে পুরুলিয়ায় এবং এক হাজার কর্মী ঝাড়খণ্ডে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। হেঁটে বাড়ি ফিরতে দেওয়া হবে না। ভাটার মালিকদেরই বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।’’

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy