Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
TMC

হোর্ডিং ছেঁড়ায় আদতে প্রচার, তত্ত্ব দেবাশিসের

এত কিছুর পরেও অবশ্য রেলশহরে তৃণমূলের ‘বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী’ দমে যাচ্ছে না। বরং হোর্ডিং ছেঁড়ার বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করে বিক্ষুব্ধদের কটাক্ষ, মানুষের কাছে তাঁদের ভাবাবেগ প্রচারে পুলিশ আদাতে সাহায্যই করেছে! 

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২০ ০৪:২৯
Share: Save:

প্রথমে বঞ্চনার অভিযোগ। তারপর ক্ষোভ জানাতে হোর্ডিং। সেখানে ‘নিজস্ব ভুবন’ গড়ার হুঁশিয়ারি। তারপর পুলিশ সেই হোর্ডিং ছিঁড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ।

এত কিছুর পরেও অবশ্য রেলশহরে তৃণমূলের ‘বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী’ দমে যাচ্ছে না। বরং হোর্ডিং ছেঁড়ার বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করে বিক্ষুব্ধদের কটাক্ষ, মানুষের কাছে তাঁদের ভাবাবেগ প্রচারে পুলিশ আদাতে সাহায্যই করেছে!

সোমবারও এই ঘটনা ঘিরে সরগরম ছিল খড়্গপুরের রাজনীতি। রবিবার শহরের ইন্দায় তৃণমূলের জেলা নেতা তথা বিদায়ী কাউন্সিলর দেবাশিস চৌধুরী পরিচালিত কার্যালয়ের বাইরে ওই হোর্ডিং দেখা যায়। হোর্ডিং তাঁরা দিয়েছেন বলে স্বীকারও করে নেন দেবাশিস অনুগামীরা। দলে পুরনো কর্মীরা বঞ্চিত হয়ে চলেছেন বলে অভিযোগ তুলে কর্মীদের ‘আবেগ’কে সমর্থন জানান দেবাশিস নিজেও।

সম্প্রতি তৃণমূলের জেলা কমিটিতে যে রদবদল হয়েছে, তাতে তিনজন কো-অর্ডিনেটরের অন্যতম রেলশহরে দেবাশিসের বিরোধী বলে পরিচিত বিধায়ক প্রদীপ সরকার। প্রদীপের পদপ্রাপ্তিতেই এই ক্ষোভ সামনে এসেছে বলে বোঝা যাচ্ছিল। যদিও প্রদীপের ব্যাখ্যা ছিল, বিজেপি এই ফ্লেক্স দিয়েছে। এই চাপানউতোরের মধ্যেই রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ফ্লেক্স ছিঁড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন দেবাশিস। তারপর সোমবার সন্ধ্যায় অনুগামীদের নিয়ে পরবর্তী রণকৌশল নির্ধারণে বৈঠকে বসেন দেবাশিস। তবে বিশেষ কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গিয়েছে। দেবাশিস জানান, শীঘ্রই ফের বৈঠক হবে।

ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ রবিবার পুলিশ অস্বীকার করেছিল। এ দিন অবশ্য খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” আর প্রদীপ-শিবিরের ধারণা ছিল, পিছু হটবে দেবাশিস অনুগামীরা। অবশ্য দমে না গিয়ে এ দিন আরও সুর চড়িয়েছে তারা। বৈঠকে ঢোকার আগে তৃণমূলের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি বিশু অধিকারী বলেন, “পুলিশ নিশ্চয়ই কারও নির্দেশে আমাদের ফ্লেক্স ছিঁড়েছে। এটা যদি রাজ্যের নির্দেশে পুলিশ করে থাকে তবে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু যদি পিছনের দরজা দিয়ে সিংহাসনে বসা কারও নির্দেশে পুলিশ এ সব করে তবে শেষ দেখে ছাড়ব।’’ দেবাশিসও বলেন, “পুলিশ যে ফ্লেক্স ছিঁড়েছে সেটা সবাই দেখেছে। কিন্তু পুলিশ এই হোর্ডিং ছিঁড়ে দেওয়ায় আমাদের কর্মীদের ভাবাবেগ আরও বেশি করে মানুষের কাছে প্রচারিত হল।”

বিধায়ক প্রদীপ অবশ্য এ দিনও বলেন, ‘‘গত বিধানসভা উপ-নির্বাচনে বিজেপির হয়ে আমাদের দলের কিছু লোক শহরে কাজ করেছিল। তাঁরাই এখন বিজেপির ইন্ধনে এ সব করছেন। তাঁদের বৈঠকে আমাদের দলের যদি কোনও নেতা থেকে থাকেন তবে তা নিয়ে দলের জেলা সভাপতি যা বলার বলবেন।" তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির বক্তব্য, ‘‘আমি বিষয়টি নিয়ে শহর সভাপতিকে ওঁদের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Debasish Chowdhury
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE