Advertisement
E-Paper

নিভৃতবাসে ভরসা তাঁবু, ঝড়ের বার্তায় ফাঁপরে

গ্রামে ফিরলেও করোনা সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, সে জন্য তাঁরা রয়েছেন নিভৃতবাসে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২০ ০২:২৬
বাড়িতে আলাদা ঘর নেই। তাই তাঁবু খাটিয়েই নিভৃতবাসে। নিজস্ব চিত্র

বাড়িতে আলাদা ঘর নেই। তাই তাঁবু খাটিয়েই নিভৃতবাসে। নিজস্ব চিত্র

করোনা সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, সে জন্য ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরে ঠাঁই হয়েছে ঘরের বাইরে। নিভৃতবাসের জন্য কেউ রয়েছেন জঙ্গলে গাছের তলায়। তো কেউ ফাঁকা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে রয়েছেন। এই ক’দিন বেশ নিশ্চিন্তেই নিভৃতবাসে কাটাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু আজ, বুধবার আছড়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড় ‘আমপান’। এখন তাঁদের কী হবে! চিন্তায় ঘুম কেড়েছে পটাশপুর-১ ব্লকের চিস্তিপুর পূর্ব গ্রামের মহারাষ্ট্র ফেরত সাত যুবক।

স্থানীয় সূত্রের খবর, চিস্তিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই গ্রামের বহু বাসিন্দা নাসিকে কাজ করতেন। লকডাউনে বহু কষ্ট করে গত রবিবার গ্রামে ফিরেছে তাঁরা। তবে গ্রামে ফিরলেও করোনা সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, সে জন্য তাঁরা রয়েছেন নিভৃতবাসে। অনেকের বাড়িতেই আলাদা ঘর এবং শৌচালয় না থাকায় তাঁরা তাঁবু খাটিয়ে থাকছিলেন। কেউ আবার ফাঁকা নড়বড়ে ঝুপড়িতে থাকছিলেন।

ঘূর্ণিঝড়ে করোনার সঙ্গে ভাঙা ঝুপড়ি চাপা পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তাঁদের। কেন তাঁদের সরকারি নিভৃতবাস কেন্দ্রে রাখা হল না, সে নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তাঁরা। নাসিক ফেরত এক যুবক বলেন, ‘‘এই ভাবে বাড়ির কুকুরকে পর্যন্ত কোনও মানুষ রাখে না। অথচ এভাবে আমদের থাকতে হচ্ছে। প্রশাসনের যদি দায়িত্ব নিতে পারবে না, তাহলে আমরা কেন ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে প্রাণ বাজি রাখতে হবে। আমাদের বাড়িতে থাকার অনুমতি দেওয়া হোক।’’

ভিন্ রাজ্য ফেরত ওই সব পরিযায়ী শ্রমিকদের কি সরকারিভাবে অন্যত্র সরানো হবে? এ ব্যাপারে পটাশপুর-১ বিডিও সুভাষকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘প্রশাসন কোনও ভাবেই গ্রামের বাইরে কাউকে তাঁবুতে থাকার অনুমতি দেয়নি। দ্রুত খোঁজ নিয়ে ওঁদের প্রত্যেককে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy