লন্ডভন্ড তৃণমূলের কার্যালয়। নিজস্ব চিত্র।
শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রামের র্যালিতে পৌঁছনোর আগে বাসভর্তি মানুষের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই দিনই রাতে পাল্টা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে বিধানসভা ভোটের ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক পরিবেশ।
মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক র্যাঙলিতে যোগ দিতে আসছিলেন বহু মানুষ। বাস আটকে তাদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে এই ঘটনার দায় অস্বীকার করা হয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত ন’টা নাগাদ মহম্মদপুর বাজারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। কার্যালয়ে ঢুকে চেয়ার-সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জেরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ২১ জন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ হাবিবুর বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী বলে গিয়েছিলেন এদিন সন্ধ্যায় তিনি আবার নন্দীগ্রামে আসবেন। তাঁর জন্যই অপেক্ষা করছিল কিছু বিজেপি কর্মী। তিনি না আসায় তারা মদ্যপ অবস্থায় উত্তেজিত হয়ে মহম্মদপুরের তৃণমূল কার্যালয় ভাঙচুর করে। শুভেন্দু অধিকারীর উস্কানি এবং তাঁর নির্দেশেই এই কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে।
অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘‘তৃণমূলের এখন লোক নেই। রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে পডড়েছে। তাই নিজেদের পার্টি অফিস নিজেরাই ভেঙে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বিজেপি কর্মীদের
ফাঁসাতে চাইছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy