বেলদায় তৃণমূলের মিছিল। নিজস্ব চিত্র
এতদিন মিছিল দেখা যাচ্ছিল শুধু নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে। এবার সেই আইনের সমর্থনেও মিছিল দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরে। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে মিছিল ও পাল্টা মিছিলে সরগরম থাকল জেলা।
ওই আইনের বিরোধিতা করে এ দিন দাসপুরের বকুলতলায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় সংখ্যালঘুদের একাধিক সংগঠন। সোমবার সকাল ১০টায় বকুলতলায় পথ অবরোধ শুরু হয়। পুলিশ বাধা দিলে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক অবরোধ চলে। বকুলতলা থেকে দাসপুর পর্যন্ত মিছিলও হয়। এদিকে গড়বেতা ১ ব্লকের শ্যামনগর, ধাদিকা, বেনাচাপড়া অঞ্চলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। গোয়ালতোড়ের বোলবান্দি, পিংবনি, পাথরপাড়া, গোহালডাঙা, মাকলি, সারবোত অঞ্চলেও নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে পথে নামেন তৃণমূল কর্মীরা। সোমবারই মেদিনীপুর সদর ব্লকের ছেড়ুয়ায় মিছিল করে তৃণমূল। ছিলেন দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, বিধায়ক দীনেন রায় প্রমুখ।
মিছিল হয় বেলদাতেও। সেখানে একসঙ্গে হাঁটেন এলাকার দুই বিবাদমান নেতা মিহির চন্দ ও সূর্যকান্ত অট্ট। গত ৭ ডিসেম্বর নারায়ণগড়ে তৃণমূলের মিছিলে এই দুই নেতার অনুগামীরা জেলা সভাপতির সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এদিন অবশ্য মিছিল শান্তিতেই শেষ হয়েছে। সবংয়ে মিছিল করে যুব তৃণমূল। সজনীকান্ত কলেজ থেকে তেমাথানি পর্যন্ত ওই মিছিল হয়। ছিলেন সাংসদ মানস ভুঁইয়া, বিধায়ক গীতা ভুঁইয়া প্রমুখ। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এদিন মিছিল করে ডিএসও। ওই ছাত্র সংগঠনের ডাকে মেদিনীপুর শহরেও মিছিল হয়।
নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে পথে নেমেছে বিজেপিও। এদিন বিকেলে আইনের পক্ষে সওয়াল করে চন্দ্রকোনা রোডে মিছিল করে বিজেপি। আয়োজক ছিল দলের চন্দ্রকোনা রোড পশ্চিম মণ্ডল। ছিলেন জেলা সভাপতি শমিত দাস, জেলা সহ সভাপতি রাজীব কুণ্ডু প্রমুখ। বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশ বলেন, ‘‘নতুন নাগরিকত্ব আইনটি বুঝলে এর বিরোধিতা করার কথা নয়। কারণ এই আইন কাউকে তাড়ানোর জন্য নয়, নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy