মহড়া: চলছে ‘জখম’ যাত্রীদের উদ্ধার কাজ। নিজস্ব চিত্র
তখন দুপুর দেড়টা। আচমকা রেলের কন্ট্রোল রুমে খবর এল, খড়্গপুরের নিমপুরায় উল্টে গিয়েছে ঝাড়গ্রাম-শালিমার যোগাযোগ এক্সপ্রেসের চারটি কামরা। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে চলে যান রেলের ডিআরএম-সহ উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকেরা। জখমদের দ্রুত চিকিৎসায় আনা হয় মেডিক্যাল টিম। উদ্ধার কাজে হাত লাগায় ‘ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স’ (এনডিআরএফ) কর্মীরা।
ভরদুপুরে আচমকা সকলকে ছোটাছুটি করতে দেখে প্রথমে চমকে যান নিমপুরার বাসিন্দারা। প্রথমে কিছু বুঝতে না পেরে এলাকায় ভিড়ও জমান অনেকে। খানিক পর সকলের হুঁশ ফেরে। তাঁরা বুঝতে পারেন, আসলে কিছুই হয়নি। সবটাই সাজানো। রেলের মহড়া।
খড়্গপুরের নিমপুরায় হাম্প ইয়ার্ডে রেল ও এনডিআরএফ-এর যৌথ উদ্যোগে এমনই এক মহড়ার আয়োজন হল শুক্রবার। রেল দুর্ঘটনা হলে কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে, আহতদের দ্রুত উদ্ধার করা যাবে, সে সব ঝালিয়ে নিতেই এই মহড়ার আয়োজন বলে রেল সূত্রে খবর। উপস্থিত ছিলেন খড়্গপুরের ডিআরএম রাজকুমার মঙ্গলা।
মহড়ার জন্য আয়োজনও ছিল বিস্তর। নিমপুরা ইয়ার্ডেই দূরপাল্লার ট্রেনের চারটি বগি রেললাইনের উপর উল্টে দেওয়া হয়। বগিগুলিতে রাখা হয়েছিল রক্তাক্ত প্রায় ১৫ জন যাত্রীর ‘ডামি মডেল’। উদ্ধার কাজে নামানো হয় এনডিআরএফ কর্মীদের। গ্যাস কাটার দিয়ে উল্টে যাওয়া বগি কেটে উদ্ধার করা হয় যাত্রীদের। তাঁবু টাঙিয়ে খোলা হয় শিবির। মৃত ও আহতদের পরিজনেরা খোঁজ নিতে পারেন, সে জন্য খড়্গপুর ও সাঁতরাগাছিতে খোলা হয়েছিল সহায়তা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রেই রেল যাত্রীদের পরিজন সেজে স্কাউটের কর্মীরা খোঁজখবর নেন। ডিআরএম রাজকুমার মঙ্গলা বলেন, “দুর্ঘটনা ঘটলে কী ভাবে সকলে সমন্বয় বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে, মহড়ায় সেটাই পরীক্ষামূলকভাবে দেখা হয়েছে।’’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘রেলের সঙ্গে এনডিআরএফ-এর কলকাতার দল যে ভাবে সমন্বয় বজায় রেখে এ দিন কাজ করেছে তা অকল্পনীয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy