পর্যটকদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় দিঘা হাসপাতালে। —নিজস্ব চিত্র।
লকডাউন পরিস্থিতি জারি। এর মধ্যেই দিঘার সমুদ্রে স্নান করতে নেমে ডুবে মৃত্যু হল দু’জনের। নিহতরা হাওড়ার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যান আরও ২ জন। তবে রাজ্য জুড়ে লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেও কী ভাবে পর্যটকরা পুলিশি প্রহরা এড়িয়ে দিঘা পৌঁছলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে কী ভাবে হাওড়ার ওই ৪ ব্যক্তি দিঘার হোটেলে ছিলেন তা নিয়েও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ওল্ড দিঘার উত্তাল সমুদ্রে স্নান করতে যান হাওড়ার লিলুয়া থানার জগদীশপুরহাট এলাকার ৪ জন। কিন্তু সে সময় নুলিয়ারা তাঁদের দেখতে পেয়ে সমুদ্রে নামতে বাধা দেন। এর পর সেই জায়গা এড়িয়ে ওই ৪ পর্যটক দিঘার সমুদ্রের বিপজ্জনক চাতালে স্নান করতে নেমে পড়েন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁরা জলে তলিয়ে যেতে থাকেন। নুলিয়ারা দূর থেকে ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন। তাঁরা সকলকে উদ্ধার করে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা ২ জনকে মৃত বলে জানান। মৃত দু’জন হলেন, নূর মহম্মদ মিদ্যা (৪৯) এবং মইদুল নস্কর (৩৮)।
ওই দলটিতে থাকা ২ জন বেঁচে গিয়েছেন। তাঁদের এক জন মুজিম মল্লিক জানান, মঙ্গলবারই তাঁরা হাওড়া থেকে দিঘা গিয়েছিলেন। তিনি বলছেন, ‘‘ব্যক্তিগত কাজে আমরা ৪ জন দিঘায় এসেছিলাম। ওল্ড দিঘায় পরিচিত একটি হোটেল মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানেই ছিলাম। হোটেলে খাওয়া দাওয়ার পর সমুদ্রে স্নান করতে নেমেই দুর্ঘটনা ঘটে।’’ অবশ্য নুলিয়ারা জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়া পর্যটকরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন। পুলিশ দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। হোটেলের এক কর্মচারি বলেন, ‘‘ওই ৪ পর্যটক হোটেল মালিকের পরিচিত হওয়ার সূত্রে, কিছু সময় কাটানোর কথা বলে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ঘরে খাওয়দাওয়া করার পর ওঁরা বার হয়ে যান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy