Advertisement
E-Paper

হেলে পড়েছে জলাধার, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁথি-৩ ব্লকের দেবেন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপাত্রবাড় গ্রামে ২০১৩ সালে একটি ওভারহেড পানীয় জলের জলাধার তৈরি করেছিল জনস্বাস্থ্য-কারিগরি দফতর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৩২
রামপাত্রবাড় গ্রামে পিএইচই-র তৈরি সেই জলাধার। নিজস্ব চিত্র

রামপাত্রবাড় গ্রামে পিএইচই-র তৈরি সেই জলাধার। নিজস্ব চিত্র

বাঁকুড়ার সারেঙ্গায় জলাধার ভেঙে পড়ার আতঙ্কের রেশ এখনও কাটেনি। কাঠগড়ায় উঠেছে জলাধার তৈরির দায়িত্বে থাকা জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের (পিএইচই) ভূমিকা। এ বার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে উদ্বোধনের আগেই একটি জলাধার ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁথি-৩ ব্লকের দেবেন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপাত্রবাড় গ্রামে ২০১৩ সালে একটি ওভারহেড পানীয় জলের জলাধার তৈরি করেছিল জনস্বাস্থ্য-কারিগরি দফতর। ওভারহেড রিজার্ভারের সামনে পাম্প হাউসও তৈরি করেছিল তারা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ওই পাম্প হাউস থেকে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দশটিরও বেশি গ্রাম সংসদ এলাকায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ হওয়ার কথা ছিল। গোটা এলাকায় পাইপ পাতার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জল সরবরাহ এখনও শুরু হয়নি। তার আগেই ওই ওভারহেড পানীয় জলের রিজার্ভারটি হেলে পড়ার ঘটনা নজরে এসেছে। সুউচ্চ জলাধারটি বিপজ্জনক ভাবে একদিকে হেলে গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। এক বাসিন্দা শক্তিপদ দাস বলেন, ‘‘জলাধারের নীচে এলাকার ছেলেরা নিয়মিত আড্ডা মারে। যে কোনও মুহূর্তে জলাধারটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসনের তরফেও এ বিষয়ে কোনও নজরদারি নেই।’’

জেলায় পানীয় জলের রিজার্ভার তৈরির জন্য ১৫২টি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর। এর মধ্যে ৫২টি প্রকল্প পঞ্চায়েতকে হস্তান্তর করেছে তারা। যদিও এই প্রকল্পটি জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর নিজেরাই তৈরি করেছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তৈরির মাত্র সাত বছরের মধ্যে গোটা প্রকল্পটি জলাধারের এমন অবস্থা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে জলাধার তৈরি করাতেই এমন বিপত্তি দেখা দিয়েছে।

বিষয়টি জানার পরে ওই জলাধার পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনস্বাস্থ্য-কারিগরি দফতর। ইতিমধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ বিভাগের বিশেষজ্ঞকে এনে জলাধারের স্বাস্থ্যও পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে ওই দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের কাঁথি মহকুমার সহকারি বাস্তুকার স্বপন শ্যামল বলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞরা একটি রিপোর্ট রাজ্য প্রশাসনের কাছে জমা দেবেন। তারা যা সিদ্ধান্ত নেবে সেই রকম কাজ হবে। তবে আপাতত ওই জলাধারের আশপাশে কাউকে যেতে বারণ করা হয়েছে।’’

Bankur Water Tank
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy