সোমবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার রাজনগরে গলা ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন-সহ গোবর্ধন সামন্ত (৩৫) নামে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গোবর্ধনকে খুন করা হয়েছে বলে তাঁর দাদা-বৌদি এবং প্রতিবেশীরা বন্ধু সমীর বর্মণ ও গোবর্ধনের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। দুজনকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
তদন্তে নেমে নন্দকুমার থানার পুলিশ ঘটনার সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের মনুয়া কাণ্ডের মিল খুঁজে পেয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কালাপেন্যা গ্রামের বাসিন্দা গোবর্ধনের সঙ্গে পাশের পাড়ার সমীরের বন্ধুত্ব ছিল। দিনমজুর গোবর্ধন আর ইটভাটার শ্রমিক সমীর দু’জনেই বিবাহিত। গোবর্ধন–উমার দু’টি সন্তানও রয়েছে। গোবর্ধনের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতের সুবাদে উমার সঙ্গে সমীরের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে পরিবারের অভিযোগ। এ নিয়ে গোবর্ধন আপত্তি তোলায় স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া-অশান্তি হত। পুলিশের দাবি, পথের কাঁটা সরাতে তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করে সমীর ও উমা। রবিবার সন্ধ্যায় সমীর গোবর্ধনকে রাজনগর হাইস্কুলের কাছে মদ্যপানের আসরে ডেকে নিয়ে যায়। দু’জনে মিলে মদ খাওয়ার পর বেহুঁশ গোবর্ধনকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সমীর। রাতে স্বামী বাড়ি না ফিরলেও উমাদেবী কাউকে কিছু জানাননি বলে অভিযোগ।
গোবর্ধনের দাদা ক্ষুদিরাম ও বৌদি শিখা সামন্তর অভিযোগ, দু’বছর ধরে সমীর প্রায়ই উমার কাছে আসত। ওদের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে গোবর্ধন আপত্তি করায় অশান্তি হত। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ গোবর্ধন বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাতে আর ফেরেনি। এনিয়ে উমা তাঁদের কিছু জানায়নি। সমীর ও উমা ষড়যন্ত্র করেই গোবর্ধনকে খুন করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy