ভ্রমণের নেশার জন্য পেশাকে ত্যাগ করতে দু’বার ভাবেননি তরুণী। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি, মোটা বেতনের মোহকে উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত আবেগকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। ৩০ লক্ষ টাকার বার্ষিক বেতনের চাকরি ছেড়ে দিতেও পিছপা হননি এই প্রযুক্তিবিদ। সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়োয় এমনটাই দাবি তাঁর। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল হয়েছে তা। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল ভিডিয়োয় তরুণীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘এটি তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত।’’ তার সঙ্গে তিনি এ-ও জানিয়ে দিয়েছেন এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। অন্যদের চাকরি ছেড়ে দিতে উৎসাহিত করার কোনও উদ্দেশ্য তাঁর নেই। নিজের ভ্রমণের শখ পূরণের জন্য তাঁর এই সিদ্ধান্ত। সেই ইচ্ছার কথা ইনস্টাগ্রামে জানানোর পর ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ। পড়াশোনা শেষ করে ওরাক্লের মতো সংস্থায় চাকরি পান তিনি। বিবাহবন্ধনেও আবদ্ধ হয়েছিলেন। নিজের ও পরিবারের জন্য একটি মাথা গোঁজার ঠাঁইও তৈরি করেছিলেন। সবটাই ছিল ছকে বাঁধা। নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত। সপ্তাহান্তে ভ্রমণের নেশার সঙ্গে ৯টা-৫টা চাকরির ভারসাম্য রাখতে রাখতে ক্লান্ত বোধ করছিলেন ওই তরুণী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কর্পোরেট জগতের গতেবাঁধা জীবন নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন বলে ভিডিয়োয় জানিয়েছেন তিনি। জীবনকে একটি সুযোগ দেওয়ার জন্য চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
নিজের ভাল লাগাকে গুরুত্ব দিতেই মোটা বেতনের চাকরির লোভ ত্যাগ করেছেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চাকরি করবেন না, নিজের ইচ্ছাপূরণকেই গুরুত্ব দেবেন। তরুণীর পোস্টটি ছড়িয়ে পড়তেই সমাজমাধ্যমে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। নেটাগরিকদের একাংশ তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। আবার অনেকে তাঁর চাকরি ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে সহমত প্রকাশ করেননি।